১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

আদমদীঘিতে মরিচ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আদমদীঘি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে কাঁচামরিচ : নয়া দিগন্ত -

বগুড়ার আদমদীঘিতে অল্প সময়ে বাড়তি লাভের আশায় মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অধিকাংশ কৃষক। মরিচ চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাষাবাদ। চলতি মওসুমে এ উপজেলায় প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। এখানকার কাঁচা মরিচের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার আদমদীঘি উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজারে পাইকারি মরিচের হাট বসে। হাটের দিন কাক ডাকা ভোর থেকে এলাকার উৎপাদিত কাঁচা মরিচ নিয়ে আসেন বাজারে। প্রতি মণ সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। পাইকাররা এখান থেকে মরিচ কিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন।
উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, শাওইল, শালগ্রাম, জিনইর, কোমারভোগ, আমইল, কেশরতা, মুরাদপুর সহ বেশ কিছু মাঠে কৃষকরা মরিচের চাষ করছে। কৃষকরা বোরো মৌসুমে তাদের জমিতে ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের গাছগুলোতে পোকা বা ছত্রাক আক্রমন করতে পারেনি। সে কারণে মরিচের গাছগুলো বেশ সতেজ ও ফলনশীল।
উপজেলার জিনইর গ্রামের কালাম ফকির জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং লাভজনক হওয়ায় তিনি বিগত কয়েক বছর থেকেই মরিচ চাষ করে আসছেন। এবার তিনি ৩৯ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এতে তার মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকার বেশি মরিচ বিক্রি করেছেন। আরো কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
উপজেলার কেশরতা গ্রামের মরিচ চাষি রফিকুল ইসলাম বর্গা নিয়ে ২৮ শতক জমিতে গত দুই বছর যাবৎ মরিচ চাষ করছেন। গত বছর তার খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় তিনি দুই লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, মরিচ উষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ুর উপযোগী মসলাজাতীয় ফসল, যা ১২ মাসই চাষ করা যায়। সব ধরনের দোআঁশ মাটিই মরিচ চাষের উপযোগী। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গাছে ফুল আসা কিছুটা ব্যাহত হয়। জমিতে মরিচের চারা রোপণের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু হয় এবং দুই মাসের মধ্যে কৃষকরা মরিচ উত্তোলন ও বিক্রি করতে পারেন। প্রতি হেক্টর জমিতে ১০ থেকে ১২ টনের মতো ফলন হয়ে কাঁচা মরিচের।


আরো সংবাদ



premium cement