১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আদমদীঘিতে অনুমোদন ছাড়াই সড়ক পথের গাছ কাটার অভিযোগ : ১০ গাছ জব্দ

-


সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়কের দু’পাশের গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসব কেটে ফেলা গাছের ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। গত ২০ জুন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম গাছগুলো জব্দ করেন। উপজেলার দমদমা-কদমা সড়কের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গাছগুলো কাটেন ওই এলাকার আবদুস সালাম নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি কার নির্দেশে গাছগুলো কেটেছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান প্রকৌশলী সুলতানা খানম।
জানা গেছে, গত ১৬ বছর আগে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের দমদমা গ্রামের ২৮ জন যুবক দলবদ্ধভাবে নিজ উদ্যোগে সড়কের দু’পাশে দেড় শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ রোপণ করেন। তারাই যতœ দিয়ে এসব গাছ বড় করে তুলেন। গত ১৯ জুন বুধবার সকালে দমদমা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আবদুস সালাম এসব কাছ কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালামসহ যারা উপস্থিত ছিলেনÑ সবাইকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
দমদমা গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, গাছগুলো আমার ছেলে শাহরিয়ার কবির শিপলুসহ আমার মহল্লার ২৮ জন যুবক রোপণ করেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে না জানিয়েই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। পরে সালামের সাথে কথা বলে জানতে পারি দমদমা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খায়রুল ইসলাম তাকে গাছ কাটতে বলেছেন। কোনো অনুমোদন ছাড়াই গাছগুলো কেটে ফেলা নিশ্চয় অপরাধ। তদন্তসাপেক্ষে এর বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে আবদুস সালাম জানান, তিনি গাছগুলো কিনে নিয়েছেন মাত্র। গাছগুলো কাটতে দমদমা পূর্বপাড়া মসজিদের নামে একটি দরখাস্ত দেয়া হয়। এরপর সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে গাছ কাটার বিষয়ে তাকে একটি কাগজ দেয়া হয়েছে। সেই কাগজটি তার কাছে রয়েছে। কিন্তু তিনি সেই কাগজ কাউকে দেখাতে রাজি নন।
এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক মানিক কুমার বলেন, আবদুস সালাম গাছ কাটার অনুমোদনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারাই এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু বলেন, সড়কে যে কেউ গাছ লাগাতে পারবে, তবে দরপত্র ছাড়া কেউ গাছ কাটতে পারবে না। তারা যে কাজটি করেছেন এটি রীতিমতো অপরাধ। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) জানান, বিষয়টি দেখা হবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম জানান, ওই সড়কে গাছ কাটতে তারা কাউকে অনুমোদন দেননি। অবৈধভাবে গাছ কাটায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement