১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁওয়ে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড়

-


ঈদুল আজহার ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের সমাগতে মুখরিত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পর্যটন ও বিনোদন স্পটগুলোতে। হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে সোনারগাঁওয়ে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোনারগাঁয়ের পর্যটন ও বিনোদন স্পটগুলোতে ঈদের দিন থেকে টানা তিন দিন ধরে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত ছিল বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর), পানাম নগরী, বাংলার তাজমহল ও পিরামিডসহ গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থানগুলো। ঈদের দিন থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিনই দর্শনার্থীর ভিড় করে সোনারগাঁওয়ে। গতকাল বুধবার বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাংলার তাজমহল ও পিরামিড, ঐতিহাসিক পানামনগরী, বারদীতে জ্যোতিবসুর জাদুঘর, বৈদ্যেরবাজার মেঘনা নদীর ঘাট, কাইকারটেক, অলিপুরা, হরিহরদি ব্রিজ এলাকা, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়। এসব বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে সোনারগাঁও জাদুঘর ও ঐতিহাসিক পানাম নগরীতে। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
এদিকে পানাম নগরী ও জাদুঘরসহ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের চাপে বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে দর্শনার্থীরা বিনোদন কেন্দ্রে ছুটছে।

সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের নির্মিত বাংলাদেশ লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ঐতিহাসিক পানামনগরী ও সোনারগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল পেরাব এলাকায় বাংলার তাজমহল ও পিরামিডে। তবে এ বছর ঈদের দিন লোকশিল্প জাদুঘর ও পানাম নগরে ছুটি ছিল। তাই দর্শনার্থীরা জাদুঘর ও পানাম নগরে প্রবেশ করতে না পারলেও তারা আনন্দ উপভোগ করেছে আশপাশ এলাকা ঘুরে। পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল সবুজ প্রকৃতির সাথে কিছু সময় আনন্দে কাটিয়ে খুশি আগত দর্শনার্থীরা। আগত দর্শনার্থীরা দেখছে, মিসরের পিরামিড আদলে নির্মিত বাংলার পিরামিড। রঙ-বেরঙের পোশাক পরিহিত অনেক দর্শনার্থী ফাউন্ডেশন চত্বরের লেকে প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন। শিশু-কিশোররা নাগর-দোলায় দোল খেয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছেন।
বাংলার তাজমহল ও পিরামিডের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্র পরিচালক আহসান উল্যাহ মনি জানান, প্রতি বছরই প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাংলার তাজমহলে ও পিরামিডে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় নামে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবারে লোকজনের আগমন ছিল অনেক বেশি।
পানাম নগরীর তত্ত্ববধায়ক সিয়াম মিয়া জানান, এবারে আশানুরূপ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ কয়েক হাজার দর্শনার্থী পানাম নগরীর আদিরূপ উপভোগ করে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি ড. আমিনুর রহমান সুলতান জানান, এবারের কোরবানির ঈদে ফাউন্ডেশন এলাকায় পর্যটকদের ভিড় ছিল অনেক। পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement