উপকূলে কষ্টের ছাপ, তবুও মুখে হাসি
- এ এস এম জসিম পাথরঘাটা (বরগুনা)
- ২০ জুন ২০২৪, ০০:০৭
কয়েক দিন আগেই উপূলীয় এলাকায় বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এ রেমালে অনেকের মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে ফেলেছে। আবার অনেকে এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। রেমালের এত দিন অতিবাহিত হলেও ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা। এর মধ্যে কোরবানি তো তাদের কাছে শুধুই স্বপ্ন। নিজের ঘরের চুলো এখনো জ্বালাতে পারেননি অনেকে। তার মধ্যে বকুল বেগম অন্যতম। তিনি কোরবানির গোশত না পেলেও তার চুলো জ্বলবে না। তাই কোরবানির গোশত দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে মুখ ঢেকে চলে আসেনথবকুল। শুধু বকুলই নয় সাফিয়া বেগম, মমতাজ, লুৎফা বেগমসহ একাধিক নারীর চোখে পানি আর কষ্টের ছাপ। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বিধবা বা ডিভোর্সি। সবার চোখে পানি থাকলেও গোশত পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাদাকাহ’ এবং ‘জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’ পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় এমন ব্যতিক্রম আয়োজনের মাধ্যমে শতাধিক দরিদ্র পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের হাতে গোশত পৌঁছে দেয়ায় তারা অনেক খুশি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানবিক নারী তাসলিমা রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দৃষ্টি মানবকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ আকন, স্বপ্ন পুরণ ফাউন্ডেশনের উপজেলা সভাপতি শোয়েব তাসিম, পাথরঘাটা পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন, উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, আমি নিজে ধন্য মনে করছি এ কারণে যে এমন আয়োজন আমার ওয়ার্ডে। যে পরিমাণ গোশত দেয়া হয়েছে তা পরিবারের সদস্যরা তৃপ্তি সহকারে খেতে পারবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা