ময়লা আবর্জনা ও আগাছায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি
- খাদেমুল বাবুল ও খাদেমুল ইসলাম জামালপুর
- ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বৃহত্তর ময়মনসিংহে বৃহত্তম কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অবস্থিত জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড ছিল এক সময় এ অঞ্চলের গৌরব। যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদনদী বিধৌত পলি ও ধোঁয়াশ মাটিতে আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় ১৯৫৮ সালে দেওয়ানগঞ্জে স্থাপন করা হয় জিল পাক সুগার মিলস। স্বাধীনতার পর পাক শব্দটি পরিবির্তন করে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় জিল বাংলা সুগার মিলস।
কৃষিভিত্তিক এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এ অঞ্চলে গড়ে উঠে উপশহর। ব্যাপক উন্নয়ন হয় এ এলাকার কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষের। উন্নয়ন হয় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভাট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। কালের পরিক্রমায় বৃহত্তর লোকসানের বোঝা বয়ে বয়ে ময়মনসিংহের সর্ববৃহৎ কৃষকভিত্তিক এ শিল্পটি দিন দিন রুগ্ন হতে হতে এখন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে মিলটির অবস্থা এতই করুণ যে, খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও আখ আনা নেয়ার ট্রাক্টরগুলো (ট্রলি) ময়লা আবর্জনা ও আগাছার (জঙ্গল) নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
মিলসূত্রে জানা যায়, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের ৬৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা বসে বসে প্রতি মাসে কোটি টাকা বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের চোখের সামনেই খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদ।
কর্মকর্তারা বিলাসবহুল গাড়ি হাঁকাচ্ছেন। সুন্দর বাড়িতে থাকছেন। কর্মচারীরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর তাদের চোখের সামনেই জঙ্গল ও মাটিচাপা পড়ে নষ্ট হচ্ছে মিলের যন্ত্রপাতি সরকারি সম্পদ।
মিলের প্রতিবেশী ভাটিপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, সারা বছরে মিল চলে মাত্র এক মাস। বছরের বাকি সময়টা স্টাফরা বসে বসে বেতন পান। অথচ তাদের চোখের সামনেই খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা মিলের মালামাল নষ্ট হয়।
আরেক প্রতিবেশী মোল্লাপাড়া গ্রামের জাহিদ মিয়া প্রশ্ন করে বলেন, মিল এখন বন্ধ। তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ কী? অথচ এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ভারী শিল্প জিল বাংলা সুগার মিলস্টি আগাছায় ঢেকে আছে। খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে মিলের যন্ত্রাংশ এবং অসংখ্য ক্যান ট্রলি।
এ ব্যাপারে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় শেড নেই। তাই আখ বহনকারী ট্রলিগুলো (ট্রাক্টর) খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। যদিও সেগুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে, তবুও যতেœর সাথে সেগুলো রাখা হয়েছে।
ময়লা-আবর্জনা সম্পর্কে জিল বাংলা সুগার মিলের ওই ঊর্ধŸতন কর্মকর্তা আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলা হবে।
মিলসূত্রে জানা যায়, জিল বাংলা সুগার মিলের ৫৮ একর নিজস্ব জমি রয়েছে। অথচ গত আখ মাড়াই মৌসুমে মিলটি শুধু ব্যাংক সুদই গুনেছে ৫৩ কোটি টাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা