১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

পানিতে ডুবে থাকা জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ : নয়া দিগন্ত -

বৃষ্টি হলেই সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এ কারণে বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ভারি বর্ষণের কারণে উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ নয়, যেন পুকুর। কিন্তু তাও নয়। জামালগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী এবং ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলমাঠেই খেলাধুলা, শরীর চর্চাসহ সব বিনোদনই করে থাকে। এ ছাড়া জাতীয় সব অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু বিদ্যালয়টির মাঠ নিচু হওয়ায় হালকা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনে একটি মাত্র ছোট ড্রেন থাকায় তেমন কাজে আসে না। বর্ষা ছাড়াও অন্য ঋতুতেও সামান্য বৃষ্টিতে স্কুল ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে নদীর পাড়টি আগে উন্মুক্ত ছিল। যেখানে শিক্ষার্থীরা অনায়াসে খেলাধুলা করতে পাড়ত। প্রায় এক বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে একটি রিভার পার্ক নির্মাণ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জায়গা বন্ধ হয়ে যায়। রিভার পার্কটির নির্মাণ ব্যয় নিয়েও এলাকায় নানা গুঞ্জন রয়েছে। পার্কটি নির্মাণের সময় নদী পাড় উঁচু করায় এবং পানি নিষ্কাষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রাখায় বিদ্যালয়টিতে জলাবদ্ধতা প্রায় স্থায়ী রূপ ধারণ করে।
জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান জানান, বর্ষায় ভারী বর্ষণে স্কুল ক্যাম্পাসের মাঠ পানিতে তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাষণের জন্য যদিও একটি ড্রেন আছে; কিন্তু সেটি কাজে আসছে না। অন্যদিকে বর্তমানে সুরমা নদীর পানি ও স্কুলের মাঠের পানির লেভেল সমান হওয়ায় পানি নিষ্কাষণে সমস্যা হচ্ছে। নদীর পানি কিছুটা কমলে এই পানি নেমে যাবে। তিনি দ্রুতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দ্রুত সমাধানের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।


আরো সংবাদ



premium cement