১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্রেতা সঙ্কটে উপকূলের কামার শিল্পীরা

-

কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় বছরজুড়ে এক প্রকার ঝিমিয়ে পার করেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে থাকা বরগুনার কামার শিল্পীরা। কোরবানির ঈদে অসংখ্য মানুষ পশু জবাই করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কিনতে ভিড় করেন কামারদের দোকানে। ফলে এ সময় বিক্রি ভালো হওয়ায় লাভের টাকায় সারা বছরের ধারদেনা পরিশোধ করেন এসব কামাররা। তবে এ বছর রেমালের প্রভাবে ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা। এতে বরগুনার অনেকেই এ বছর কোরবানি থেকে বিরত থাকায় পশু জবাইয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিক্রি কমেছে। এ ছাড়া যন্ত্রপাতির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরনো যন্ত্রপাতি মেরামত করছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
বরগুনা পৌর মার্কেটে কামার শিল্পীদের দোকান ঘুরে দেখা যায়, দোকানে কয়লা দিয়ে জ্বালানো চুলার আগুনে লোহা গরম করে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারের দা,বটি, চাকু ও ছুরিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন কামাররা।
বরগুনা ইসলামিয়া মাদরাসা শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা মাদরাসায় প্রতি বছর কোরবানিতে ৩০ থেকে ৩৫টি ছুরি মেরামত করি। গত বছর ৮০ টাকা করে প্রতিটি ছুরি মেরামত করলেও এ বছর তা মেরামতে ১১০ টাকা করে খরচ হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার কামার শিল্পী সমিতির সভাপতি হরিদাস কর্মকার বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর তিন ভাগের এক ভাগ বিক্রিও নেই। এ দিকে সব মালামালের দাম বৃদ্ধি, অপর দিকে মানুষের পকেটে বাড়তি টাকা নেই। এখন দোকানের কর্মচারীদের বেতন দিয়ে টিকে থাকার মতো অবস্থা নেই।
সভাপতি আরো বলেন, সংসার খরচের পর অনেকের কাছে কোরবানির জন্য পশু কেনার বাড়তি টাকা নেই। এ কারণেই এ বছর আমাদের তৈরি করা কোরবানির যন্ত্রপাতি বিক্রি কমেছে।


আরো সংবাদ



premium cement