১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঠাকুরগাঁওয়ের স্বর্ণের খনি খ্যাত ইটভাটায় অনুসন্ধান

-

কিছুদিন আগে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকার ‘ইটভাটার মাটির স্তূপের নিচে স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে’ এমন একটি খবর বেশ ভাইরাল হয়ে যায়। স্বর্ণ পাওয়ার আশায় স্থানীয়রাসহ পাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ওই ইটভাটায় স্বর্ণ খোঁজার জন্য ভিড় জমাতে থাকে। কারো হাতে কোদাল, কারো হাতে বসিলা, কারো হাতে খুি- এই নিয়ে তারা স্বর্ণের অনুসন্ধানে দিনরাত মাটি খুঁড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গত ২৬ মে ‘আরবিবি ইটভাটা’র ওই স্থানটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেই সাথে লোকমুখে চলতে থাকে স্বর্ণ পাওয়ার নানা গল্পকাহিনী।
সম্প্রতি রানীশংকৈলের কাতিহার হাট এলাকায় ভূতত্ত্ব অধিদফতর থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল আসে মাটি পর্যবেক্ষণের জন্য। সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আল রাজি গত ৩ জুন থেকে ৫ জুন পর্যন্ত রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, বাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ ও অন্যদের সাথে নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তূপ, মন্দিরের পাশের জমি ও পাশের পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন।
ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা এবং এলাকাবাসী জানায়, আমরা শুধু শুনেছি স্বর্ণ পাওয়ার কথা। নিজেরা স্বর্ণ পাইনি এবং কেউ পেয়েছে কি না তা-ও দেখিনি।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তিন স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে স্বর্ণ থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতœতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যেকোনো স্থানে এসব থাকতে পারে। আমরা যে মাটির নমুনা নিয়েছি ল্যাব টেস্ট করলে এখানে স্বর্ণ আছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement