১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঔপন্যাসিক ও চিকিৎসক নীহার রঞ্জন গুপ্তের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি

-

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘কিরীটি রায়’ চরিত্রখ্যাত ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক ভিটা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নীহার রঞ্জন গুপ্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভাইস-চ্যান্সেলর শরীফ আশরাফুজ্জামান, নড়াইলের পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন জীবন কৃষ্ণ সাহা, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (্ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, ইতনা স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিন্দ সরকার, আবদুস ছালাম খান, এস এম আকরাম শাহীদ চুন্নু, এস এম হায়াতুজ্জামান, অধ্যক্ষ রওশন আলী, সুজন রহমান, শেখ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কারহ স্মৃতি সংরক্ষণে পাঁচ দফা দাবির কথা জানিয়েছেন ইতনা গ্রামের সন্তান কবি, চিত্রশিল্পী ও গবেষক এস এম আলী আজগর রাজাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। দাবির মধ্যে রয়েছে- নীহার রঞ্জন গুপ্তকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া, তার উপন্যাসসহ অন্যান্য লেখা সরকারিভাবে প্রকাশ করা, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সিলেবাসভুক্ত করা, পৈতৃকভিটায় গবেষণামূলক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা এবং একুশে ও স্বাধীনতা পদক প্রদান করা।
‘কিরীটি রায়’ চরিত্রখ্যাত ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯১১ সালের ৬ জুন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঔপন্যাসিক হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি চিকিৎসক হিসেবেও সমাদৃত তিনি। তার বাবার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত ও মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। তাদের বিশাল নান্দনিক বাড়িটির নাম- ‘আনন্দ অন্নদা কুটির’। নীহার রঞ্জন গুপ্তের পরিবার ছিল বিখ্যাত কবিরাজ বংশীয়। বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ‘কিরীটি রায়’ এর জন্য উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি।
নড়াইলের ইতনা গ্রামে নীহার রঞ্জন গুপ্তের আপনজন কেউ নেই। প্রায় ২০০ বছরের ঐহিত্যবাহী দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল বাড়িটি দীর্ঘ দিন ধরে ভগ্নদশায় থাকার পর ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছে। প্রাচীন স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন এই বাড়ি।
নীহার রঞ্জন গুপ্তের উপন্যাসের সংখ্যা দুইশতেরও বেশি। এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি উপন্যাসকে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়ন করা হয়েছে।
প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, আগামি অর্থবছরে নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এ কাজের পাশাপাশি নীহার রঞ্জন গুপ্তের কর্মময় জীবনের ওপর প্রদর্শনী (ডিসপ্লে) বোর্ড করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement