আশুলিয়ায় মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার
- আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
- যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় যত্রতত্রভাবে এমনকি মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম সিলিন্ডার বা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। শুধু মুদি দোকানই নয়, চালের দোকান, ইলেকট্রনিকসের শোরুম এমনকি হার্ডওয়্যারের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। দীর্ঘ দিন ধরে বিস্ফোরক লাইসেন্স না নিয়ে এসব দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের নেই কোনো মাথাব্যথা কিংবা নজরদারি। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এ অঞ্চলে।
নিয়ম অনুযায়ী, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুদ করার স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদফতরের লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখা বাধ্যতামূলক। সেই সাথে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেয়ারও বিধান রয়েছে। কিন্তু শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এসব নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। যে যার মতো পারছে গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে ঝুঁকির আশঙ্কা।
বিস্ফোরক পরিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে হলে বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু আশুলিয়ায় কয়েক শতাধিক দোকানে প্রকাশ্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হলেও এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না বেশির ভাগ দোকানি। এসব অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো অভিযান পরিচালনা করতে কিংবা ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি।
আশুলিয়াতে মোট ইউনিয়ন রয়েছে পাঁচটি। যার মধ্যে শিমুলিয়া, পাথালিয়া, ধামসোনা, ইয়ারপুর ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। আর আশুলিয়া হচ্ছে শিল্পাধ্যুষিত এলাকা। এখানে রয়েছে ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাসহ (ডিইপিজেড) অসংখ্য শিল্পকারখানা। বিপুলসংখ্যক লোকের বসবাস এখানে। যার ফলে প্রত্যেকটি এলাকার মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। শুধু বিক্রিই নয়, এসব গ্যাস সিলিন্ডার দোকানেই মজুদ করে রাখা হচ্ছে।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, আশুলিয়া একটি শিল্পাধ্যুষিত জনবহুল এলাকা। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেই বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারির থাকা উচিত।
এ ব্যাপারে সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক (ঢাকা) আলীম উদ্দিনের মুঠোফোনে বক্তব্য চাইলে বিষয়টি শুনে তিনি মিটিংয়ে রয়েছেন বলে জানান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের এক জন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর (সাভার জোন) জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ফায়ার লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করতে হয়। তবে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানগুলোতে এগুলো নেই। আমাদের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয় এবং না মানলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারি আমরা। এ ছাড়া অনেক দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারও রয়েছে। যার ফলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তো রয়েছেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা