১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফার্মাসিস্ট দিয়ে চিকিৎসা

-

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল অফিসার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফার্মাসিস্ট দিয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৫ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা, মেডিক্যাল অফিসার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও সহকারী সার্জনসহ ২৮ জনের পদ বিদ্যমান। কিন্তু ২৮ জনের স্থলে মেডিক্যাল অফিসার আছেন তিনজন; এর মধ্যে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (ভার:) পদে একজন নিয়োজিত। বর্তমানে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারসহ মোট ২৩ জন চিকিৎসের পদ শূন্য। ফলে দুইজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি ফার্মাসিস্টদের দিয়ে জরুরি বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অথচ প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, বহির্বিভাগে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী এবং জরুরি বিভাগে ৫০ থেকে ১০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকেন। কিন্তু হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত না হওয়ায় বেডের সঙ্কুলান হয় না। ফলে অনেক রোগী বারান্দার ফ্লোরে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে অনেক মা ও শিশু রোগীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তেঁতুলিয়া হাসপাতালে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থাকলেও গাইনি, অ্যানেস্থেশিয়া ও সার্জারি চিকিৎসক না থাকায় অনেক অন্তঃসত্ত্বা মাকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। একইভাবে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তিরনইহাট, কালান্দিগঞ্জ ও ভজনপুরে মেডিক্যাল অফিসার (এমবিবিএস) না থাকায় সাধারণ মানুষ মৌল মানবিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম চিকিৎসাসেবা পেতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গত রোববার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বললে, তেঁতুলিয়া সদরের মমিনপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জমিলা বেগম (৬০) জানান, ‘শরীরের ব্যথা, মাথা ঘুরছে এ জন্য ডাক্তার দেখবা আসনু। হাতও দেখিল নাই; কহিল কোনো সমস্যা নাই। এ জন্য মোক ওষুধ দিলো নাই।’
সাহেবজোত গ্রামের পাথরশ্রমিক আল মামুন (২৮) বলেন, মেডিক্যাল অফিসার নাই; একজন দেখে ওষুধ লিখে দিলো। হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে দেখি মেয়াদ উত্তীর্ণ; বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে জানালে তিনি সেই ওষুধ রেখে আমাকে অফিস সহকারীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: এ এস এম রুহুল আমিন বলেন, হাসপাতালে বেশির ভাগ মেডিক্যাল অফিসারের পদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মেডিক্যাল অফিসারের পদায়ন চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রদানের বিষয়টি দুঃখজনক। দায়িত্বরত ফার্মাসিস্টকে বদলি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের সাথে চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি গাজার উত্তরের সর্বশেষ অর্থোপেডিক সার্জন নিহত মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ : মামলার অনুমতি পেল বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিজয় দিবসে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে : মুহাম্মদ শাহাজাহান অভিবাসী ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ট্রাম্পের খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’ ঘূর্ণিঝড় চিডোর কারণে ফ্রান্সের মায়োটে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা মুক্তিযোদ্ধা দলের মহাসমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া একই দিনে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে

সকল