মুন্সীগঞ্জে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি
- মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ২১:৫৬
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে মুন্সীগঞ্জের বিস্তীর্ণ জমি প্লাবিত হয়ে কৃষকের সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। সবজির জমিতে এখনো পানি থই থই করছে। ওই সব জমির অপরিপক্ব সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী, মহাকালী ও রামপাল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এই তিন ইউনিয়নে করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, লাউ, শসা, কুমড়া, ঝিঙা ও বেগুনসহ অন্যান্য সবজি চাষ হয়েছে। আলু উত্তোলনের পর একই জমিতে কৃষকরা এ ধরনের সবজির চাষ করে থাকেন। এই সবজি গাছগুলো তৈরি মাচার মধ্যে লতাপাতায় ভরে তার মধ্যে ফসল উৎপাদন হয়। তাই স্থানীয় ভাষায় এই চাষাবাদকে লতা চাষও বলা হয়ে থাকে।
কৃষকদের রোপণ করা সবজি চারা গাছগুলো সবেমাত্র বড় হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বেশির ভাগ জমি। মুন্সীগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সবজির সমরোহ ঘটায় দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী বটতলা ও বজ্রযোগিনী বাজার সবজির আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ টাকা কেজি দরে করলা, জালি কুমড়া ও লাউ ১০-১২ টাকা এবং চিচিঙ্গা, বেগুন ও ধুন্দুল ৮-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা ঘূর্ণিঝড়ের আগে দ্বিগুণ দরে বিক্রি হচ্ছিল। সদর উপজেলার কৃষক আতাউর রহমান মোল্লা, ও বজ্রযোগিনী পুকুরপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের সাথে কথা বলে সবজির দাম জানা গেছে।
কৃষক সাইফুল ইসলাম পান্না বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে তুলে মাত্র ১০০ কেজি সবজি ১৫০০ টাকা বিক্রি করছি। এখন সব পানির নিচে, নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরস্বতী এলাকায় আব্দুল কাদির দেওয়ান বলেন, ৭৫ শতাংশ জমিতে এক লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ করে জালি, লাউ, করলা ও বেগুন আবাদ করছিলাম। এখন তা সব পানির নিচে। মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এ বছর খরায় মেশিন দিয়ে পানি সেচে খুব কষ্ট করে ফসল ফলাইলাম। কিন্তু এমন সময় বৃষ্টি হইল সব পানির নিয়ে গেল। এখন আমাদের আর বাঁচার উপায় নেই।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর সদর উপজেলায় ৭৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রেমালের প্রভাবে ১২০ হেক্টর জমতে পানি জমেছে। জমি থেকে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। উপজেলার বজ্রযোগিনী মহাকালি ও রামপাল ইউনিয়নে বেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা