পাইকগাছায় পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবারে সঙ্কট বাড়ছে
- শেখ দীন মাহমুদ পাইকগাছা (খুলনা)
- ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পাউবোর বেড়িবাঁধের অন্তত ৩৫টি স্থানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন পোল্ডার অভ্যন্তরে লবন পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের ও ফসলের ক্ষেত ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার পরিবার। পিলার ও গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় তার ছিঁড়ে গোটা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত চার দিনেও অনেক এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা পরিষদ থেকে সরবরাহকৃত জিও ব্যাগ ও বস্তায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় বাঁধ কেটে পানি নামানো হচ্ছে। তবে জোয়ারে ফের পানি প্রবেশ করায় বাঁধ মেরামতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ দিকে পানিবন্দী ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা পরিবারের মধ্যে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের দেয়া শুকনো খাবার অপ্রতুল হওয়ায় কোনো কোনো এলাকায় খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার ১০/১২ নং পোল্ডারের গড়ইখালীর কুমখালীর ক্ষুদখালীসহ অন্তত ৩৫টি পয়েন্টে ভাঙনসহ ২৩ নং পোল্ডারের লস্করের বাইনতলা, কড়ুলিয়াসহ তিনটি স্থানে, লতা, দেলুটি, হরিঢালী, রাড়ুলী, কপিলমুনিসহ সোলাদানার একাধিক পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে।
দূর্যোগপরবর্তী সময় থেকে খুলনা-৬ আসনের এমপি রশীদুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন, সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল সাইফুল ইসলাম, ওসি ওবাইদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েসসহ জনপ্রতিনিধিরা দুর্যোগপীড়িতদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানানো হয়।
এ ছাড়া আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্য থেকে বিশেষ করে উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাসের পক্ষে দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা