১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
সঠিক দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

সোনারগাঁওয়ে কোরবানির পশু খামারিরা ব্যস্ত

কোরবানিকে সামনে রেখে গরুর যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা : নয়া দিগন্ত -


ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সোনারগাঁওয়ে কোরবানির পশুর খামারিরা। তাদের ধারণা, কোরবানির সময়ে পশুর সেবা যত্ন না বাড়ালে প্রত্যাশিত দাম পাওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ দেশীয় ও প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই তারা গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। তবে সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। তাদের আশঙ্কা গত বছরের ন্যায় এ বছরও যদি বিদেশী গরু দেশে প্রবেশ করার সুযোগ পায়, তাহলে তারা পশুর সঠিক দাম পাবেন না।

জানা যায়, সোনারগাঁও পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ছোট বড় শতাধিক প্রান্তিক পর্যায়ের খামার রয়েছে। এসব খামারে এবার কোরবানির পশু লালন পালন করছেন খামারিরা। তাদের খামারে পশুদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পাকচং ঘাস, কুড়া, ভুসি, খৈল, খড় ও ভাতের মাড়। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এসব পশু লালন পালন করছেন তারা।
বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা যায়, খামারিরা পশুর হাটে বিক্রির জন্য ছোট বড় মাঝারি আকারের হলস্টেইন ফ্রিজিয়াম, জার্সি, আয়ারশায়ার, গারনেসি, ব্রাউই সুইট, নওরেজিয়ান রেড, লাল এবং সাদা হলস্টেইন জাতের ষাঁড় গরু লালন পালন করছেন। তারা জানান, গো-খাদ্যের দাম কয়েক দফা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুগুলোকে প্রস্তুত করতে তাদের অনেক খরচ হয়ে গেছে। এখন বাজারে যদি ভালো দাম না পান তাহলে তাদের পথে বসে হবে। খামারিরা বলেন, দেশের বাজারে যদি ভারতীয় বা মিয়ানমারের গরু না আসে, তাহলে হয়তো তারা ভালো দাম পাবেন।
উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার মালিকানাধীন তামিম ডেইরি ফার্মে গত তিন বছর ধরে উন্নত জাতের শিংন্দি, অস্ট্রেলিয়ান, জার্সি, ফ্রিজিয়ান ষাঁড় গরু পালন করে আসছেন। এ বছরও বিভিন্ন জাতের মোট ৪০টি ষাঁড় রয়েছে তার খামারে। আমিনুল ভূঁইয়ার বলেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে ২০টি গরু বিক্রি করে দেই।

জামপুরের বস্তল এলাকার আবিদ এগ্রো ফার্মের মালিক খামারি গোলজার হোসেন জানান, অন্যান্য পশুর পাশাপাশি এ বছর কোরবানিকে সামনে রেখে তিনি দু’টি ফ্রিজিয়ান জাতের বড় গরু লালন পালন করেছেন। সোনারগাঁও পৌর এলাকার দরপত গ্রামের প্রান্তিক খামারি জাকির হোসেন জানান, তিনি গত পাঁচ বছর ধরে গরু মহিষ লালন পালন করে আসছেন। এ বছর তার খামারের মূল আর্কষণ দুটি বড় জাতের মহিষ। পাশাপাশি ১০টি গরুও রয়েছে কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা: মুহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, এবার সোনারগাঁয়ে কোরবানি উপলক্ষে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে একাধিক টিম সোনারগাঁও উপজেলার খামারিদের দেখভাল ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অসাধু উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ কেউ যাতে করতে না পারে সে দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement