কালীগঞ্জ বিএনপির বিভাজন এখন প্রকাশ্যে
হামলা-মামলার স্বীকার নেতাদের শীর্ষ পদে স্থান না দেয়ায় অসন্তোষ- কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা
- ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা বিএনপি এখন দৃশ্যমান দুই ভাগে বিভক্ত। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে কর্মপরিকল্পনা বিহীনভাবে এগুচ্ছে দলটি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত দুই দিনে দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে। এতে দলের ভিতরে বিরাজ করছে অসন্তোস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির থানা সদরের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রভাবশালী এক সদস্য বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে বিএনপির তেমন কোনো কর্মসূচিই নজরে পড়েনি বহু বছর ধরে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, নতুন, ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতা থাকার পরও একেবারেই অক্ষম, অযোগ্য লোকদের দিয়ে দল চলছে।
অভিযোগ রয়েছে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনের সহধর্মিণী শম্পা হককে দলের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে। সম্প্রতি শম্পা হককে থানার মহিলা দলের ১ নং সদস্য নির্বাচিত করা হয়। আর এ কারণেই দলে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেন, শাহিনা খানম, মাহবুবুল আলম, আশরাফী হাবিবুল্লাহ, খায়রুল আলম মিন্টু, ছোলেমান আলম, মনিরুজ্জামান লাভলু, মাসুদ রানাসহ অনেক যোগ্য নেতাদের দলের শীর্ষ পদে স্থান দেয়া হয়নি। যিনি কখনো ছাত্রদল করেননি তাকে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, যিনি যুবদল করেননি তাকে যুববিষয়ক সম্পাদক এবং যিনি স্বেচ্ছাসেবক দল করেননি তাকে স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। যেসব নেতা হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছেন তাদের শীর্ষ পদে স্থান দেয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একই সাথে দলের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে কালীগঞ্জ থানা বিএপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জান বাবলুর ছোট ভাই শফিকুজ্জামান সোহেল একই সাথে কালীগঞ্জ থানার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আসীন রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাস্টার হুমায়ুন কবির বলেন, দলের সব কমিটিই কাউন্সিলিং পদ্ধতির মাধ্যমে হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে শম্পা হককে সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা