১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কমলগঞ্জের ৪টি ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : কৃষির ব্যাপক ক্ষতি

ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা
ধলাই নদীর পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকা : নয়া দিগন্ত -

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও দুই দিনের টানা বর্ষণে উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শাকসবজিসহ কৃষির ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদীভাঙন ও নদীর আরো ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার পানিসাইল, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, নারায়ণপুর, শমশেরনগরের রঘুনাথপুর, পতনঊষারের নোয়াগাঁও গ্রামসহ আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আউশ ক্ষেত ও শাকসবজিসহ কৃষিক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ দিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর এলাকায় ধলাই নদীর সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে পৌরসভার পানিশালা এলাকার বসতবাড়ি, ডাকবাংলো, কমলগঞ্জ মডেল সরবারি উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
বাঁধবাসীরা বলেন, ধলাই নদী থেকে ড্রেন দিয়ে পানি বেরিয়ে আমাদের দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা এখন পানিবন্দী হয়ে আছি।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সাকিব আহমেদ নদীভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, একটি স্থানে ভাঙনের খবর পেয়েছি। তা ছাড়া ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement