১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
উপজেলা নির্বাচন

দোয়ারাবাজারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বিভক্তি

-

আজ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার নেতা প্রার্থী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দলের অন্যান্য নেতাকর্মী। ফলে তারা এখন কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন অন্য প্রার্থীরা।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার নেতাসহ পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নুরুল আমিন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী, দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। নির্বাচনের পরও এ ফাটল থেকে যাবে বলে সন্দেহ অনেকের।
আওয়ামী লীগপন্থী সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আরিফুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচনী মাঠ দখল করে নিয়েছেন। ভোটাররা তার পক্ষেই ঝুঁকে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভোটাররা মনে করেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও মাঠে তাদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলেও দলের কিছু কিছু ভোটার ভোট দিতে আসবে এবং তাকে ভোট দিবে। সে ক্ষেত্রে বহিষ্কৃত এই নেতার অবস্থান ভালো হবে বলে ধারণা করছেন ভোটারা।
এ দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন দলের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। ভোটারদের বড় একটি অংশ মনে করছেন নুরুল আমিনই হবে মূল প্রতিদ্বন্ধী।
উপজেলার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে মূলত নুরুল আমিন, দেওয়ান তানভীর আশরাফী ও আরিফুল ইসলাম জুয়েলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তাদের মতে নুরুল আমিন ও আরিফুল ইসলাম জুয়েলের অবস্থান ভালো বলে মনে করেন তারা।
বিএনপির তৃণমূল ভোটাররা বলছেন, বিএনপির নেতারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। কিন্তু বিএনপির সাধারণ ভোটারদের কেউ কেউ তো ভোট দিতে যাবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ তারেক জানান, যেহেতু দল কাউকে মনোয়ন দেয়নি, সেহেতু দল থেকে কাউকে সমর্থন দেয়ারও সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, এটা স্থানীয় নির্বাচন। এখানে ভোটাররা যাকে ভালো ও যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দিবেন। উপজেলাবাসী যেনো শান্তি ও সুশৃঙ্খলভাবে তাদের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন এটাই প্রত্যাশা।


আরো সংবাদ



premium cement