১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাঙ্গাবালীতে বেরিয়ে আসছে ক্ষতচিহ্ন

-

ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেছে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বেড়িয়ে আসছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
রেমালের তাণ্ডবে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি-প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে দেড় হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। মারা গেছে পাঁচ শতাধিক গবাদিপশু। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আট হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫২০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ৫৭৭টি গবাদিপশু মারা গেছে। নয়টি বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার পরিবার। তাদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বিতরণ করা হবে। চেয়ারম্যানদের ডিও দেয়া হয়েছে। এখন খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়েই বিতরণ করবেন তারা।
জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় কোথাও ভাঙা বাঁধ দিয়ে, কোথাও বাঁধ উপচে এবং কোথাও বেড়িবাঁধ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা নিচু এলাকার প্রায় সবগুলো ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মৎস্য বিভাগ বলছে, এক হাজার ৩২০টি পুকুর ও ২০৫টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্যচাষিদের।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, বাঁধের ভেতরে এই মুহূূর্তে পানিতে প্লাবিত। পানি কমলে বাঁধের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানানো যাবে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্র্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। রাঙ্গাবালীর দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ, শিশু খাদ্যের জন্য দুুই লাখ, ২০০ মেট্রিকটন চাল এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement