বগুড়ায় বিদ্যুতের অভাবে প্রকাশ হয়নি দৈনিক পত্রিকা
ঝড়ে ঘরবাড়ি সড়ক ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি- বগুড়া অফিস
- ২৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বগুড়া জেলায় গাছপালা, ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষ ২৫-৩০ ঘণ্টা বিদ্যুত না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বগুড়া থেকে ১০-১২টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতে পারেনি।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গত সোমবার রাত থেকেই উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ ছিল না। রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে ধানখেতে পানি জমে গেছে। ধানগাছ নুইয়ে জমে থাকা পানির মধ্যে পড়েছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে ৩৩ কেভির লাইনে গাছের ডাল পড়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
কাহালু উপজেলায় সোমবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা, বিদ্যুৎ, ইটারনেট ও ডিস সংযোগের তার। উড়ে গেছে কারো কারো ঘরের ছাউনির টিন। সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। নেসকোর আওতাধীন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও পল্লী বিদ্যুৎ-সংযোগ দুপুর পর্যন্ত চালু হয়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ কাহালু জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুন রহমান সরকার জানান, আমাদের মেইন লাইন চালু করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে। এদিকে ধুনট উপজেলায় ঝড়ে বোরো ধান ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া শহরে সোমবার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। দিন ও রাতে ঝড়ো বাতাসে সদরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়।
এদিকে শহরে সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা আবার কোথাও কোথাও ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। বিশেষ করে শহরের বাদুরতলা শাপলা মার্কেট প্রেসপট্টি, বাদুরতলা প্রেসপট্টি বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় বগুড়া থেকে ১০-১২টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতে পারেনি।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নেসকো পিএলসি অফিসও অন্ধকারে ডুবে ছিল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের সূত্রাপুর, জলেশ^রীতলা এলাকাসহ কিছু ভিআইপি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তাই পানি নিয়ে ওই এলাকার মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা