প্রতিবন্ধী যাদু মিয়ার মাছের খামারে কাজ করছেন ১০ জন শ্রমিক
- শাহজাহান সিরাজ কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
- ২৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
মাছের খামারের পর বিদেশী গরুর খামার করতে চান প্রতিবন্ধী যাদু মিয়া। কিন্তু এ স্বপ্ন তার কিভাবে পূরণ হবে। যেখানে তাদের খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ভেড়ভেড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী যাদু মিয়া ২০১৬ সালের দিকে সমাজসেবা অফিসের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পে সদস্য হন। পরে ঋণ নিয়ে ৩০ শতাংশ জমিতে মাছের খামার গড়ে তোলেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বাড়তে থাকে মূলধন সাথে ব্যবসাও।
যাদু মিয়া বলেন, অল্প টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলাম প্রায় দেড় যুগ আগে খামার। এখন খামার অনেক বড় হয়েছে। তবে মাথার ওপর ঢাল হয়ে আছে সমাজসেবা অধিদফতর। খামারে এখন প্রতিদিন কাজ করছে প্রায় ১০ জন শ্রমিক। আমার স্ত্রী ও ছেলেই খামার দেখভাল করে। অন্য কোথাও থেকে ঋণ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাজসেবাই আমাকে স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। এ জন্য আর অন্য কোথাও ঋণ নেয়ার চেষ্টা করিনি। মাসিক সহজ কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য। সমাজ সেবা থেকে ঋণ নিয়ে যাদু মিয়ার মতো স্বাবলম্বী হওয়ার অনেক গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিশোরগঞ্জ সমাজসেবা দফতরে।
ক্ষুদ্র ঋণের উপকার ভোগী আর এক উদ্যোক্তা ওছমান আলীর ছেলে নবাব আলী এক যুগ আগে ছোট পরিসরে ওষুধের ব্যবসায় শুরু করেন। প্রথমে ১০ হাজার টাকার ওষুধ দিয়ে শুরু করলেও তার দোকান এখন লাখ লাখ টাকার ওষুধ। প্রতিদিন বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ওষুধ। এতে তার দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে তিনজনের।
হাসানুর রহমান, হাসিনা বেগম, ছাদেকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, সমাজসেবা থেকে ঋণ নিয়ে গরু পালন করে। এখন তারা চার-পাঁচটি করে গরুর মালিক। সরেজমিন কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাছের খামার, পশুপালন, শিতল পার্টি, বাঁশ শিল্পের নানা ব্যবহারিক পণ্য তৈরিসহ বিভিন্ন ব্যবসায় করে স্বাবলম্বী অনেক নারী পুরুষের সাথে কথা হয়েছে। পরে তারা উদ্যোক্ত হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন। এসব মানুষের কথা দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার কঠিন পথ সহজ করেছেন সমাজসেবা অধিদফতর।
সমাজসেবা অফিস জানায় উপজেলার প্রায় শতাধিক মানুষ তাদের থেকে ঋণ নিয়ে দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রতিবন্ধী যাদু মিয়া জানায় দুর্দিনে সামান্য অর্থসহায়তা দিয়ে কেউ যখন আসেনি তখন পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ঋণ বিতরণ করা হয়েছে আট লাখ ২৬ হাজার টাকা। যার ঋণ গ্রহীতা ৬৭ জন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা