যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল
- শরিফুজ্জামান লোহাগড়া (নড়াইল)
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত শুটারসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর খুনের নেপথ্য ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।
মূলত সাবেক ইউপি সদস্যের সাথে বিরোধ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ ভাড়ায় শুটার এনে গুলি করে মোস্তফা কামালকে হত্যা করে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেন লিপনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি র্যাব। গত ১০ মে হত্যার শিকার হন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। ঘটনার সাতদিন পর চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার চারজন হলেন- শুটার সাজেদুল মল্লিক, পাভেল শেখ, মামুন মোল্যা ও রহমত উল্লাহ শেখ। তাদের মধ্যে দুইজন ছাত্র, একজন গাড়িচালক, আরেকজন শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার নড়াইল এবং চট্টগ্রামের বায়েজিদ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর কওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি জানান, গত ১০ মে মোস্তফা কামালকে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথে তিনি মারা যান। এ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রিজাউল শিকদার বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আকবর হোসেন লিপনকে প্রধান আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, দীর্ঘ বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আকবর হোসেন লিপনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পূর্ববিরোধের জেরে মোস্তফা কামাল এবং আকবর হোসেন লিপনের অনুসারীদের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে লিপন গুরুতর আহত হন এবং তার একটি হাত কাটা পড়ে। পরে লিপন ও তার অনুসারীরা মোস্তফা কামালের ওপর প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা