নলডাঙ্গায় নিদারুণ কষ্টে এক অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি
- শহিদুল ইসলাম শাহিন সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা)
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ঘর নেই জমি নেই অন্যের জমিতে পলিথিনের ছাউনির ছোট্ট একটি কুটির বানিয়ে নিদারুণ কষ্টে বসবাস করছেন অসহায় বৃদ্ধ আবু বক্কর দম্পতি। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের মৃত অকিম উদ্দিনের ছেলে ভূমিহীন আবু বক্করের বয়স প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই।
আবু বক্কর পেশায় একজন চাউল কল মিস্ত্রি ছিলেন। এক ছেলে, চার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এক সময় সুখের সংসার ছিল তার। এখন বৃদ্ধ বয়সে এসে তার আয় রোজগার নেই বললেই চলে। ছেলেমেয়েদের লালন পালন আর বিয়ে সাদি দিতে গিয়ে তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বসতভিটাটুকু বিক্রি করতে হয়েছে। এখন একেবারেই নিঃস্ব আবু বক্কর।
প্রতাপ সেনপাড়া কালিমন্দির সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তির রাস্তার পাশের জমির ওপর ছোট্ট একটি পলিথিনের জীর্ণশীর্ণ বাঁশ, ভাঙা টিন ও পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঘিরে একটি ঘর তৈরি করে ছেলে আমিনুল ইসলাম, স্ত্রী জবা বেগম ও নাতি-নাতনীদের নিয়ে কোনো রকমে দিনাতিপাত করছেন তিনি। আকাশে একটু মেঘ করলে কিংবা একটু ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে নাতি-নাতনীদের নিয়ে আশপাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
বৃদ্ধ আবু বক্করের শরীরে এখন নানা রোগব্যাধি বাসা বেঁধেছে। কঙ্কালসার দেহ নিয়ে তিনি এখন আর কোনো উপার্জন করতে পারেন না। অভাব-অনটনের সংসারে চিকিৎসা ও ওষুধ কেনারও সামর্থ্য নেই তার। ওই ছোট্ট কুটিরের এক পাশে চা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে বসেছেন। কখনো কিছু বিক্রি হয়, কখনো হয় না। এভাবেই অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে এই বৃদ্ধ দম্পতির। ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও তেমন কোনো সহযোগিতা পায় না অসহায় পরিবারটি।
দরিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত এই পরিবারটির আকুতি, সরকার তো অনেককেই জমি ও ঘর করে দিচ্ছে। তাদের ভাগ্যেও যদি জুটতো একটি সরকারি ঘর! বৃদ্ধ দম্পতির বুকভরা আশা, সরকার যদি তাদের মাথা গোঁজার মতো একটু ঠাঁই করে দিতো, কতই না উপকার হতো তাদের। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ঘর দেয়ার এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের নেই। এ বিষয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বলে দেখি যদি তার জন্য কিছু একটা করা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা