১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ব্যয় হবে ১৭ কোটি টাকা

দাগনভুঞায় নির্মিত হচ্ছে ওয়াটার প্ল্যান্ট ও পাইপলাইন স্থাপনের কাজ

নির্মাণাধীন ওয়াটার প্ল্যান্ট : নয়া দিগন্ত -

ফেনীর দাগনভুঞা পৌরসভাধীন রামান্দপুর গ্রামে ৪৩ শতক জায়গার ওপর ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হচ্ছে ওয়াটার প্ল্যান্ট এবং ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হচ্ছে পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ। এর মাধ্যমে পৌর নাগরিকদের সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে বলে পৌরসভা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, দাগনভুঞা পৌরসভাধীন রামানন্দপুর গ্রামে ৪৩ শতক জায়গাজুড়ে ওয়াটার প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। মেয়র ওমর ফারুক খান ডাম্পিং-এর জন্য দিয়েছেন ১৮৬ শতাংশ জায়গা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন নির্বাচিত ৩২ পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এ ওয়াটার প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। ওয়াটার প্লান্ট স্থাপনের কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গ্রিন ডট এমকেএম জেবি লিমিটেড এবং পাইপ লাইন স্থাপনের কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ৩৫০০ পরিবার ও পরবর্তী ধাপে সাত হাজার পরিবারকে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো পৌর এলাকা এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চলতি মাসের মধ্যে ড্যাম্পিং সাইটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পানি সরবরাহ করা যাবে।
দাগনভুঞা পৌর এলাকার বাসিন্দা মিশু নাথ বলেন, পানি অমূল্য সম্পদ। দাগনভুঞা পৌর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক থাকায় পৌরবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দাগনভুঞা পৌরবাসী উপকৃত হবে। এর জন্য মেয়র ধন্যবাদ প্রাপ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নয়া দিগন্তকে দাগনভুঞা পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, দাগনভুঞা পৌর এলাকার পানিতে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক, আয়রন ও স্যালাইন ওয়াটার থাকায় পৌরবাসী কষ্টে দিনযাপন করছেন। তাদের কথা চিন্তা করে এ ওয়াটার প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। আশা করছি এর মাধ্যমে পৌরবাসী সুপেয় পানি পাবেন।


আরো সংবাদ



premium cement