কাউখালীতে বিরোধ-কোন্দলে লড়াই হবে ত্রিমুখী
- কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
- ১৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
পিরোজপুরের কাউখালীতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোন্দল, গ্রুপিং-বিরোধে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধের জেরের প্রভাব পড়েছে উপজেলা নির্বাচনে। স্থানীয় এমপির সমর্থক নেতা ও কর্মী বাহিনী কাজ করছে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর পক্ষে।
অপর দিকে জোটের পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে যারা নির্বাচন করেছিলেন তারা কাজ করছে অপর দুই প্রার্থীর পক্ষে। তাই এই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় এমপির সমর্থকরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে বিরোধ ও কোন্দলে বিভক্ত হয়ে পড়ায় নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে ত্রিমুখী ও জমজমাট।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কাউখালী উপজেলার ৬২ হাজার ৪৯৯ জন ভোটার পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী থেকে একজনকে নতুন অভিভাবক নির্বাচিত করবেন। এ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সয়না রঘুনাথপুর ইউপির বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, জেপির সভাপতি পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করা স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় এমপির আস্থাভাজন আবু সাঈদ মনু মিয়া (ঘোড়া প্রতীক)। উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিই সরাসরি তার পক্ষে নির্বাচন করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টনের (কাপ-পিরিচ) সাথেও রয়েছে আওয়ামী লীগের বহু সংখ্যক নেতাকর্মী।
শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জোটের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দেয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল (আনারস প্রতীক)।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের নৌকা মার্কার উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক শক্তিশালী বর্ষিয়ান নেতা, উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, বারবার নির্বাচিত সাবেক আমরাজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আব্দুস শহীদ (মোটরসাইকেল) ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাঠে রয়েছেন আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদুল ইসলাম খান পারভেজ। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতারা ভোটদানে বিরত থাকলেও এবার বিএনপির সাধারণ ভোটাররা সামাজিক ও পারিবারিক কারণে কোনো কোনো প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন।
কাউখালী থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সজাগ রয়েছি। আশা করি ভোটের দিনেও শান্তিপূর্ণ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল মোল্লা বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা