পায়রা বন্দর ইপিজেড’র মাটি ভরাটের কাজ শিগগিরই
- পায়রা বন্দর (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
দেশের তৃতীয় বৃহৎ পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে তোলা হচ্ছে দ্বিতীয় রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। পটুয়াখালীর আউলিয়াপুর এলাকার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে বিস্তীর্ণ ৪১০ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয় ইপিজেডের জন্য। যেখানে ৩০৬টি শিল্প প্লট গড়ে উঠবে। দেশীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায়। ইপিজেড সম্পূর্ণরূপে চালু হলে এতে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈদেশিক দেড় হাজার মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে সে জমি বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে সেখানে শুরু হবে নির্মাণ কাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এর খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে বেপজার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা, বাকি এক হাজার ১০৫ কোটি টাকার জোগান দেয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। এটির নির্মাণকাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা।
ইপিজেড পূর্ণাঙ্গ চালু হলে এখানে প্রায় এক হাজার ৫৩০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং প্রতি বছর এক হাজার ৮৬০ মিলিয়ন ডলার আয় হবে। আর সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হবে এক লাখ মানুষের। এছাড়া ইপিজেডে পণ্য উৎপাদনের পর পায়রা বন্দর ব্যবহার করে দ্রুত রফতানি করার সুযোগ থাকায় এই ইপিজেডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি।
ইপিজেড নির্মাণে স্থানীয়রা খুশি হলেও জমি অধিগ্রহণে মৌজা দর কম নির্ধারণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জমি মালিকরা বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতি শতাংশ জমি বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দেয়া হয়েছে ১৬ হাজার টাকা দরে। বর্তমান বাজারদর আমাদের দেয়া হলে ভালো হতো।
পটুয়াখালীর ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জমি বুঝে নিয়েছি। এখন এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, ইপিজেড যেখানে গড়ে উঠছে সেখানে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা