কাজে আসছে না প্রায় ৭ কোটি টাকার সেতু
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১২ মে ২০২৪, ০০:০৫
চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত পীরপুর-গঞ্জেরঘাট সেতুটি কোনো কাজে লাগছে না মানুষের। অযথাই দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি নদীর ওপর। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দুই মাস আগে। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তায়। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী ও যানবাহন চলাচলে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কৃষক, সাধারণ গ্রামবাসী সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনো নৌকায় কখনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছেন। অথচ শর্ত ছিল ব্রিজের সংযোগ সড়ক করার প্রয়োজনীয় জমি ও উপযোগিতা পরীক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা দেখা দিলে দরপত্র আহবান করার আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পীরপুর-গঞ্জেরঘাট সেতুটির পাশেই জনসাধারণের পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো করে দিয়েছে খেয়াঘাটের ইজারাদার। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পায়ে হাঁটা নারী-পুরুষ। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে সাঁকোর পরিবর্তে তখন ব্যবহার করা হয় নৌকা।
অপর দিকে, সেতুতে বাঁশের মই লাগিয়ে ওঠানামা করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। সেতুটির ওপরে স্থানীয় পাইকার ভুট্টা ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকরা ধান, গম ও ভুট্টা শুকানোর কাজে ব্যস্ত। ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত সেতুটিজুড়ে শুকানো হচ্ছে ভুট্টা।
হাটকালুগঞ্জের কৃষকরা বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এলজিইডি সেতু বানালো। অথচ সে সেতু জনগণের কোনো কাজে আসছে না। এমনও দিন আছে আমাদের চাষাবাদের জন্য ২-৩ বার নদী পার হওয়া লাগে। নৌকা ও সাঁকো দিয়ে এই নদী পারাপার হতে আমাদের গুনতে হয় প্রতি পারে ৫ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি গঞ্জেরঘাট প্রান্তে সেতুটির ভিত্তি স্থাপন করেন। একই বছরে ১১ ফেব্রুয়ারি দরপত্রের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি ২০২২ সালের ১৮ আগস্টের মধ্যে নির্মাণ শেষ করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই বছর হতে চললেও সেতুটি চালু করা যায়নি আজো।
এলজিইডি চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চলছে। সংযোগ সড়ক তৈরি ও জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এলজিইডির কাছে আছে। অধিগ্রহণের জটিলতা কেটে গেলে নিয়ম মেনে জমির মালিককে মূল্য পরিশোধ এবং পরে দ্রুততম সময়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হবে। আশা করছি খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা