লালপুরে সড়ক উন্নয়নের বলি হচ্ছে এক হাজার গাছ
- এহসানুল করিম তুহিন লালপুর (নাটোর)
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:০৫
নাটোরের লালপুরে দরপত্রের মাধ্যমে রাস্তার প্রায় এক হাজার গাছ ঢালাওভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এখনো কোনো গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। লালপুরে সড়কের পাশের এই গাছগুলো না কাটার দাবি তুলছে এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
জানা গেছে, উপজেলার মোহরকয়া কলেজ থেকে অমৃতপাড়া ও কলেজের পেছন থেকে রহিমপুর পর্যন্ত দুই প্লটে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১২ বছর আগে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বন বিভাগ। ২০২৩ সালে প্রায় এক হাজার গাছ কাটার জন্য গাছের গায়ে নম্বর দিয়ে দরপত্র সম্পন্ন করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, উল্লেখিত কিছু কিছু গাছ কেটে ফেলায় বর্তমানে রাস্তার দু’ধারে সবুজের নয়নাভিরাম সেই দৃশ্য আর নেই। কেটে ফেলা গাছগুলো আশপাশের ইটের ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য নেয়া হচ্ছে। এখনো তিন শতাধিক গাছের গায়ে নম্বর বসানো রয়েছে। সেগুলোও কেটে ফেলা হবে।
বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, গাছগুলো ছায়া দিচ্ছে, সড়কের সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে। এই তীব্র তাপদাহে পুড়েও আমাদের টনক নড়ছে না যে, গাছ কেন আমাদের এত প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, দেশে নিদেনপক্ষে ১৭ ভাগ বনায়ন থাকা দরকার। অথচ আমাদের বনায়ন আছে মাত্র ৭ ভাগ। এরপরও সামান্য অর্থের লোভে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। লালপুর এমনিতেই দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম ও কম বৃষ্টিপাতের উপজেলা। এখানে বনায়ন খুবই কম। বন বিভাগ কখনোই এখানে এভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারে না।
উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে গঠিত সমিতির সদস্যরাই গাছগুলোর দেখাশোনা করেছেন। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ। গাছ বিক্রির ৫৫ ভাগ টাকা পান সমিতির সদস্যরা। বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিভাগে বণ্টন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে বন বিভাগের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, সামাজিক বনায়ন প্রকল্পেরর গাছ নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় নীতিমালা মোতাবেক সরকারি ট্রেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। সামনের বর্ষায় পুনরায় গাছ লাগানো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা