কাউখালীতে খাদ্যগুদামে দুই যুগেও জেটি নির্মিত হয়নি
- কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত খাদ্যগুদামটি বর্তমানে অযতœ অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে খাদ্যগুদামের ভবনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খাদ্যগুদামের পাঁচটি ভবনের চারটিই এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। একটি ভবন কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এই ভবনগুলোতে এ অঞ্চলের খাদ্যের মালামাল রাখার সুব্যবস্থা ছিল। কালের প্রবাহে খাদ্যগুদামগুলো ভাগ হওয়ার ফলে কিছুটা গুরুত্ব কমে যায়। এ গুদামে বছরে এখনো প্রায় দুই হাজার মে.টন খাদ্যসামগ্রী ওঠানামা করে। নদীর তীরবর্তী ভবনগুলো হওয়ায় উপমহাদেশের জাহাজ ও দেশীয় জাহাজে করে নদী দিয়ে এই গুদামে খাদ্যসামগ্রী রাখা সহজ ব্যবস্থা ছিল। অথচ সরকারের এই বৃহৎ গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য ভবনে ওঠানামার জেটিটি দীর্ঘ দুই যুগেও নির্মাণ করা হয়নি।
খাদ্যগুদামের সর্দার নুরুল ইসলাম জানান, জাহাজ থেকে মাল ওঠানামা করতে গিয়ে শ্রমিকরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। তিনি আরো জানান, এই কারণে অনেক শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। যার ফলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
শুধু জেটি নয়, সীমানা প্রাচীরও নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে খাদ্য গুদামের আবাসিক ও অফিস ভবনগুলো সীমান প্রাচীর না থাকায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সাধারণ মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা থাকার কথা না থাকলেও অবাধে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে এখানে এখন মাদক ও উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের অনৈতিক কার্যকলাপের নিরাপদ স্থান বলে অনেকেই মনে করেন। সবমিলিয়ে খাদ্যগুদাম এলাকা এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, আমি এই স্টেশনে নুতন। খাদ্যগুদামের সব সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তবে খাদ্যগুদামের পাইলিংয়ের কাজ শেষে সীমানা প্রাচীর ও জেটির জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা