বাউফলে সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও
- বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সাথে উপজেলার সদরের যোগাযোগের প্রধান সড়কের নির্মাণকাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও। ফলে ভোগান্তিতে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। সড়কে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করায় ওই খোয়া এখন লালচে ধুলোয় পরিণত হতে শুরু করেছে। ওই ধুলার কারণে সড়কসংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৯২ লাখ চার হাজার ৩৭৫ টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার সড়কের কাজের দায়িত্ব পায় পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতারা এন্টারপ্রাইজ। ওই অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি করছেন উপজেলার কনকদিয়া ইউপি সদস্য কাজী মিজানুর রহমান।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে নাজিরপুর তাতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের দুই কিলোমিটারের অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং উঠে মাটি বের হয়ে আছে। সড়কটির এক পাশ থেকে আরেক পাশে পানি নামার জন্য মোল্লা বাড়ি ও দেওয়ান বাড়ির মাঝখানে নির্মাণ করা কালভার্টটি নির্মাণের ছয় মাস যেতে না যেতেই মাঝখানের ঢালাইয়ের পাথর উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও সিমেন্ট কম দেওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবুল বশার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।
ওই সড়কটির পাশে রয়েছে নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানদী কামিল মাদরাসা, ধানদী নুরানী মাদরাসা ও ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানদী বাজার।
আবদুস ছালাম মিয়া (৭৯) নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে শরীরের পরিধেয় পোশাক ধুলায় লালচে হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হয়। এ কারণে তিনি অন্য এলাকা দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে আসা-যাওয়া করেন।
নাজিরপুর ছোট ডালিমা প্রাথমমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম বলেন, খোয়ার ধুলোর কারণে শ্রেণিকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘিœত হচ্ছে। এ কারণে পানি ছিটিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী এ বি এম হুমায়ন কবির কাজে ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মিজানুর রহমান বলেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক না। দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন বলে জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মানিক হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। কয়েক দিন আগে সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। কালভার্টের খোয়া উঠে গিয়েছে এটা সত্য। ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ দ্রুত শেষ না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা