১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এখনো চারচালা টিনের ঘর

কালের সাক্ষী সোয়া ২২৪ বছরের মিয়া বাড়ি জামে মসজিদ
মিয়াবাড়ির মসজিদটি দেখাশুনা করছেন শতবর্ষী ছত্তার মাদবর : নয়া দিগন্ত -

বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দের গাঁও গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে দুই শ’ ২৪ বছরের পুরনো মিয়া বাড়ির জামে মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটির সভাপতি শতবছর বয়সী আ: সত্তার মাদবর বলেন, সৈয়দের গাঁও গ্রামটি জমিদার বাড়ির নাম অনুসারে হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই গ্রামটি পরিচিত। মরহুম বদরুল মিয়ার ছেলে সৈয়দ শামসুল আলম মিয়া ১৮শ’ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। তখন এটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ছিল। প্রায় ১০ বছর ধরে মসজিদটি জামে মসজিদ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
মসজিদটি চারচালা টিনের ঘর। কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এটি দেখাশোনা করেন মিয়া বংশের জানু মিয়ার মেয়ে নাসরিন বেগম। তিনি বরিশালে থাকেন। বছরে দুই বার এসে খোঁজখবর নিয়ে চলে যান। মসজিদের ইমাম মাওলানা ফারুক হোসাইন এখানে ইমামতি করেন। বেতন পান মাত্র এক হাজার টাকা।
তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বিনা পারিশ্রমিকে একজন মোয়াজ্জিন ও একজন খাদেম আছেন মসজিদটিতে। মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয় মুসল্লিদের টাকায়। প্রতি শুক্রবার ২০-২৫ জন মুসল্লি হয় মসজিদে। মসজিদসংলঘœ গ্রামটি নয়া ভাঙ্গনী নদীতে ভেঙে যাওয়ায় মসজিদের মুসল্লিদের সংখ্যা কমে গেছে।
মসজিদ থেকে নয়া ভাঙ্গনী নদীর পাড় মাত্র ৫০ গজ দূরে। মসজিদের কাছেই পীর সৈয়দ বদরুলের কবর। নদীটি ওই কবরের কাছে চলে আসার পর নদীভাঙ্গা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি একজন কামেল পীর ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়। অনেকেই কবরের কাছে এসে মানত করেন এবং মানতের টাকা মসজিদের দান বাক্সে রেখে যান। বছর শেষে সেই দান বাক্স থেকে ১০-১২ হাজার টাকা আসে। সে টাকা মসজিদ দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা নাসরিন বেগমের কাছে জমা রাখা হয়।
আর্থিক সঙ্কটে হিমশিম খাচ্ছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়রা দুই শ’ বছরের পুরনো মসজিদটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement