১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে আশোয়া গ্রাম

-

গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত সব ঋতুতেই এখন সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর করাল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। উপজেলার মানচিত্র বৃহৎ আশোয় গ্রামের ভাঙতে ভাঙতে নদীর করাল থাবায় মানচিত্র এখন ছোট হয়ে গেছে।
স্থানীয় মেম্বার আলামিন হোসেন জানান, এক যুগ আগেও তিন হাজার খানা ছিল এই গ্রামে, ভাঙতে ভাঙতে এখন এক হাজার ২০০টি খানায় রয়েছে। সন্ধ্যা ও গাবখান কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, মক্তব, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাকার বৃহৎ খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন যারা অবস্থাপন্ন তারা অন্যত্র বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। আর যারা অপেক্ষাকৃত গরিব শ্রেণীর তাদের পূর্বপুরুষের ভিটাবাড়ি ছিল মূল সম্পদ, যা হারিয়ে তারা নিঃস্ব অসহায় যাযাবরের মতো জীবন-যাপন করছে। কেউ কেউ আবার সরকারিভাবে আবাসনে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারিভাবে ঠাঁই পেয়েছে। এখনো অনেকের ঠাঁই হয়নি মৌলিক চাহিদার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান বাসস্থানের। আশোয়া গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী হানিফ, রুস্তম, মোজাম্মেল শরীফ, আবুল বাশারসহ অনেকেরই জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার আকলিমা বেগম জানান, ভাঙনের ঝুঁকিতে বর্তমানে শতাধিক পরিবার রয়েছে। তাদের দ্রুত সরিয়ে না নিলে তারাও জমি-জমা, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ভাঙন রোধকল্পে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, শত শত বাড়ি-ঘর স্থাপনা ভেঙে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধকল্পে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement