১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হোসেনপুরে বাঁশ ও বেতের গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করেই চলে মালেকের সংসার

-

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলঅর বাসিন্দা আবদুল মালেকের (৫৭) সংসার চলে নিজের তৈরি বাঁশ ও বেতের গৃহস্থালি জিনিসপত্র বিক্রি করে। উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। অভাবের সংসারে তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি বাঁশের টুকরি, বাঁশের খাঁচা, ঝাঁপি, কূলা, চালুন, সাজি, চাল মাপার সের, খেলাধুলার টলি, ডালা, মাটি ঝারা, চালুন ও মাছ ধরার ছাইসহ প্রায় ২২ প্রকারের জিনিসপত্র তৈরি করছেন বাঁশ দিয়ে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরেই বাঁশের ঝাঁপিতে প্রতিদিন তিনি নিজের স্বপ্ন বোনেন। এখন পাইকাররাই তার কাছে আসে এসব জিনিসপত্র কিনে নিতে। তিনি নিজেও স্থানীয় বাজার ও আশপাশের গ্রামগঞ্জে ফেরি করে তার তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন। মূলত এই উপার্জনেই চলে তার সংসার।

তথ্য সংগ্রহকালে বাঁশ ও বেতের এই সুদক্ষ কারিগর জানান, জন্মের পর থেকেই তিনি বাঁশ ও বেতের কাজ করছেন। কাজের ভেতরে ডুবে নিজের কাছ থেকেই তিনি আরো শিখছেন। এভাবে হাত পাকিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাজারে আসায় তার তার তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে গেছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিলেও তিনি এখনো পেশাটি ধরে রেখেছেন।
আবদুল মালেক জানান, প্রতিদিন তিনি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকার জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। বাঁশ ক্রয়সহ অন্যান্য খরচ বাদে তার লাভ থাকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বাঁশ জোগাড় করতে হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে, নিজের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রামে যেয়ে। লাভ কম হলেও এ কাজে তার কোনো অলসতা নেই। সারাদিন বসে বসে কাজ করতে পারেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেজাউল করিম রশিদ জানান, মালেকের বাবা-দাদাও একই পেশায় যুক্ত ছিলেন। দরিদ্র ওই পরিবারটি যেন এ খাতে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা পান সে জন্য তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতেও সচেষ্ট রয়েছেন বলে তারা জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল