সিঙ্গাইরে নয়ছয়ভাবে চলছে এলজিইডি অফিসের সংস্কারকাজ
- সোহরাব হোসেন সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ)
- ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের (এলজিইডি) সংস্কারকাজ চলছে নামে মাত্র। তিনটি প্যাকেজের ওই কাজ তদারকি করছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মহাবুল ইসলাম। তবে চলমান এ সংস্কার কাজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বক্তব্যের মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নয়-ছয়ভাবে করা এ কাজ নিয়ে উপজেলা পরিষদ পাড়ায় চলছে নানা সমালোচনা। সৃষ্টি হচ্ছে ধোঁয়াশার।
জানা গেছে, বিশেষভাবে বরাদ্দকৃত ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি অফিসের প্লাস্টার, রঙ ও ডেকোরেশনের কাজ চলছে নামে মাত্র। টেন্ডারে মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। তারা ওই অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নয়-ছয়ভাবে কাজটি শেষ করার চেষ্টা করছেন।
এ দিকে উপজেলা কমপ্লেক্সের বহুতল ভবণ নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্য দিকে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজের জন্য এত টাকা ব্যয় অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে সামান্য টাকা খরচ করে পুরো টাকাই লোপাট হতে যাচ্ছে।
মাইশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বাদল মিয়া বলেন, কাজটি তিনি টেন্ডারের মাধ্যমেই পেয়েছেন। তবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল কি না তার জানা নেই। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, প্লাস্টার ও রঙের কাজ শেষ হলেও আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংস্কার কাজের সুপারভিশন অফিসার উপসহকারী প্রকৌশলী মহাবুল ইসলাম নয়-ছয়ভাবে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিশেষভাবে পাস করা সংস্কার কাজ যথাযথভাবেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এ কাজের বিষয়ে বিপরীত মন্তব্য করেন উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমেই অফিসের ডেকোরেশন ও রঙের কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম তার মনে নেই।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এটা মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও মেরামতের রিকুয়েস্ট ফর কোটেশনের কাজ। ১ শতাংশের কাজ উপজেলা পরিষদের করার সুযোগ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা