১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চড়া দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

হোসেনপুরে ঈদের কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড়

দোকানে পণ্যের দরদাম করছেন ক্রেতারা : নয়া দিগন্ত -

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে এখন সরগরম প্রতিটি বিপণিবিতান। তবে পণ্যের দাম বেশি থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেট, বিপণিবিতান ও জুতার শোরুমে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতারা দর-কষাকষি করে ঈদের কেনাকাটা করছেন। ঈদের আরো এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও পুরোপুরি জমে উঠেছে ঈদের বাজারগুলো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল করিম জানান, পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা সময় নিয়ে কেনাকাটা করছেন। অন্য সময়ে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হতো, এবার গড়ে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা মনজুরুল হক জানান, তিনি প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে থেকে হোসেনপুরে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সবার জন্য ঈদের কেনাকাটা শেষ করলেও সব জিনিসের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ক্রেতা পলি আক্তার বলেন, গত দুই মাস আগে যে কাপড় ১২০০-১৫০০ টাকায় কিনেছি, এখন সেগুলোর দাম ২৫০০-৩০০০ টাকা। একটি থ্রি পিছ আগে তিন হাজার ছিল এখন সেটি পাঁচ হাজার টাকার বেশি দাম চাচ্ছেন।
জুতার দোকানি মতিন মিয়া বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম। গত তিন মাস আগে যে জুতা ৬০০-৮০০ টাকায় পাইকারি কিনেছি, সেগুলো ঈদ উপলক্ষে ৯০০-১২০০ টাকায় কিনেছি। এতে বাধ্য হয়েই বেশি দামে জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
এ ছাড়া পোশাকের রঙ ও ধরনের সাথে মিল রেখে তরুণী ও নারীরা কিনছেন হাতঘড়ি, পায়েল, ব্রেসলেট, মাথার টিকলি, সানগ্লাস ও বাহারি রঙের চুড়ি।
হোসেনপুর বাজারের বিশিষ্ট কসমেটিকস ব্যবসায়ী মাসুদ মৃধা জানান, গত কয়েক বছর করোনাসহ নানা কারণে বিপণিবিতানগুলোতে বিক্রির পরিমাণ কম ছিল। এ বছর রমজানের শুরু থেকেই বেচাকেনার ধুম পড়েছে। আশা করছি এবার ঈদে দোকানগুলোতে বিক্রির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি ছাড়িয়ে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement