১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ইউপি সদস্যের কাছে প্রশাসন অসহায়

মুরাদনগরে খিড়া নদীতে বাঁধ দিয়ে কৃষিজমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়

মাটি নেয়ার জন্য খিরা নদীতে দেয়া বাঁধ : নয়া দিগন্ত -

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ি সংলগ্ন খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। বাঁধ নির্মাণের ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি জমিতে সেচকাজ। ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই ক্ষমতাধর প্রভাবশালী মহলটি। এতে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত খিড়া নদী দিয়ে এক সময় যাত্রী ও মালবাহী নৌকা ও ট্রলার চলাচল করত। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮-১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি জোগান দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষি কাজই আমাদের প্রধান পেশা। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটিরুজিতে আঘাত করছে। এরা যেভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আমরা আর জমি খুঁজে পাব না। প্রশাসন এখনই পদক্ষেপ না নিলে আমাদের ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশ থাকে। জমিগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খবর নিয়ে খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement