আলোর পথে গুচ্ছগ্রামের ছিন্নমূল শিশুরা
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল বীর নন্দনের পাড়া গুচ্ছগ্রাম এবং চর নন্দনের পাড়া গ্রাম। এই তিনটি গ্রামে (গুচ্ছগ্রাম, বীর নন্দনের পাড়া এবং চর নন্দনের পাড়া) পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এসব দরিদ্র পরিবারের রয়েছে পাঁচ শতাধিক শিশু। কিন্তু এই গ্রামগুলোতে কোনো স্কুল না থাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এখানকার শিশুরা। শিক্ষাবঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের শিশুরা সারা দিন এখানে সেখানে ছিন্নমূল শিশুদের মতো ঘুরে বেড়ায়।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, বীর নন্দনের পাড়ায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। বিগত ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন থেকেই এ গ্রামগুলোর দরিদ্র পরিবারের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
২০২৩ সালের নভেম্বরের কথা। নাম ও পদবি প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুর উপজেলার এক সরকারি কর্মকর্তা গুচ্ছগ্রামটি পরিদর্শনে আসেন। দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনাটি তার নজরে আসে। তখন তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগ এখানে একটি অস্থায়ী স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেন এবং একজন শিক্ষক নিয়োগ করেন। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম শুরু করানো হয়। প্রাথমিকভাবে ২০ জন মেয়ে এবং ২৫ জন ছেলে স্কুলে পড়ালেখা করতে আসে। গত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুলটিতে শিশুদের জন্য নানা খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এমন আয়োজন দেখে মহাখুশি শিক্ষার আলো ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, এ উপজেলার একজন কর্মকর্তা গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শনে এসে এই আলোহীন চরাঞ্চলে আলোর প্রদীপ জ্বেলে রেখেছেন। তার এমন মহতী কাজের মূল্যায়নের ভাষা আমার জানা নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা