সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত লালমোহন পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক
- লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা
- ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
ভোলার লালমোহন পৌরসভার প্রায় সব সড়কই ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। ফলে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভালো নেই পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
লালমোহন পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার বর্তমানে ওয়ার্ড রয়েছে ১২টি। পৌরসভার পাকা সড়ক রয়েছে ৪০ কিলোমিটার ও কাঁচা সড়ক ২৬ কিলোমিটার। তবে দীর্ঘ দিন এসব সড়ক পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার না করায় যান চলাচল তো দূরের কথা, হাঁটাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ পৌর বাসিন্দাদের। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পৌর সুগন্ধা সড়ক ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চান মিয়া সওদাগর সড়কসহ প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর এলাকার নয়ানীগ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ বলেন, প্রায় একযুগ হয়েছে এ ওয়ার্ডে রাস্তার মেরামতের কাজ হয়নি। এ রাস্তাটি পাকা হলেও ইট-পাথর হারিয়ে খানাখন্দের কারণে বর্তমানে কাঁচা রাস্তায় রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে এখান থেকে বাজারে যেতে আগে যেখানে ৫-১০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগতো, তা এখন ৩০টাকা।
সবুজবাগের বাসিন্দা জহিরুল হক সেলিম বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে রিকশার ক্ষতি হওয়ার শঙ্কায় রিকশাওয়ালারাও এ দিকে আসতে চায় না। একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে হাঁটাও দুষ্কর। এ কারণে এ এলাকায় কোনো ভাড়াটিয়া থাকতে চায় না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রায় সব সড়কই ভাঙাচোরা। বছরের পর বছর এমন দশা থাকলেও পুনর্নির্মাণ দূরের কথা, মেরামতও করা হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকায় লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা রয়েছে। পৌর বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি বছরই সড়ক উন্নয়ন খাত দেখিয়ে যানবাহনের স্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছে পৌরসভা। তবে যুগ যুগ ধরে সড়কের উন্নয়ন দেখেননি তারা।
লালমোহন পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, এগুলো আমাদের প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত আছে। অবিলম্বে সড়কগুলোর কাজ শুরু হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা