০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

শেরপুরে মরিচের চারা নিয়ে প্রতারণা

-

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার এক নার্সারি থেকে মরিচের চারা কিনে বিপদে পড়তে যাচ্ছেন তিন মরিচ চাষি। ওই চাষিরা নার্সারি থেকে যে জাতের মরিচের চারা কিনেছিলেন তাদেরকে সেই জাতের চারা না দিয়ে অন্য জাতের চারা দেয়ায় মরিচের ক্ষেতে পরিচর্যায় হেরফের হয়। এতে গাছে যখন ফুল আসতে শুরু করে, তখন মরিচের গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।
কৃষকরা জানান, তারা ফুলবাড়ী রানীনগর এলাকার মেসার্স ভাই বোন নাসারি নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিজলী প্লাস মরিচের চারা ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু নার্সারি তাদেরকে দিয়েছে স্টার প্লাস চারা। এতে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের আয়রা সাতান হিন্দুপাড়া এলাকার তিন কৃষক শামিম হোসেন, সুবাদ চন্দ্র, সুমল চন্দ্র এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। ভেঙে যাচ্ছে তাদের স্বপ্ন।
সরেজমিনে গত রোববার সকালে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের আয়রা সাতান হিন্দুপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমিতে মরিচের ফলন আসতে শুরু করেছে। কিন্তু গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে চাষি শামীম জানান, আমি ফুলবাড়ী ভাই বোন নার্সারি থেকে বিজলী প্লাস মরিচের চারা ক্রয় করে এনে দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলন আসার সময় গাছগুলো মরতে শুরু করার কারণ নার্সারি মালিক আমার সাথে প্রতারণা করেছেন। আমি ক্রয় করেছিলাম বিজলী প্লাস চারা, কিন্তু নার্সারি মালিক আমাকে দিয়েছে স্টার প্লাস চারা। আমি বিজলী প্লাস গাছের চাহিদা অনুসারে যে সব পরিচর্যা ও ওষুধ ব্যবহার করেছি, সেগুলো স্টার প্লাসের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন মরিচ গাছগুলো মরে যাচ্ছে। শামীম বলেন, আমি এই দেড় বিঘা জমি থেকে প্রতি বছর ৭-৮ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করি। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, আমি খরচ তুলতে পারব কি না সেটি নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কথা হয় অন্য কৃষক সুবাদ চন্দ্রের সঙ্গে। তিনিও জানান, এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। শুরুতে চারার জাত চেনা যায় না। ফলন আসলে চেনা যায়। আমার সাথেও একই প্রতারণা করেছে। আমি ঋণ করে জমি
চাষ করেছি।
সুমল চন্দ্র বলেন, আমার ১৬ শতাংশ জমিতে বিগত তিন বছর ধরে বিজলী প্লাস মরিচ চাষ করি। এটা দিয়েই সংসার চলে। এবার আমার জমির গাছগুলো মরে যাচ্ছে। আমার সব স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলবাড়ী রানীনগর এলাকার নার্সারি ব্যবসায়ীরা জানান, বিজলী প্লাসের দাম বেশি এবং স্টার প্লাসের দাম কম। কৃষকরা যে চারা কিনছেন, তাদেরকে যদি সেই চারা না দিয়ে থাকে তাহলে সেটি একটা প্রতারণা বৈ কিছুই নয়।
বিষয়টি জানার জন্য মেসার্স ভাই বোন নার্সারির মালিক ফজলুল হকের নার্সারিতে ও তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে কল করলেও মোবাইল বন্ধ
পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খাতুন বলেন, আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে নার্সারি মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতা রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ৪ জেলেকে অপহরণ কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু! সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ জয়পুরহাট আনুমানিক ২০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঝালকাঠিতে শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় ২ বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে গোশত লুট ঘুমের মধ্যে দম আটকে গেলে কী করবেন মার্কিন কারাগারে কেমন আছেন আফিয়া সিদ্দিকী? তার সাথে সাক্ষাতের পর জানালেন বোন

সকল