২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অপরূপ সোনালুর হাতছানিতে মুগ্ধ পথচারী

-

জ্যৈষ্ঠের এই প্রচ তাপদাহে মানুষের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তখন একটু গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেয় পথচারীরা। আর এ সময়ে প্রকৃতি সাজে তার অপরূপ সৌন্দর্যে। বসন্তে পাতা ঝেরে ফেলে গ্রীষ্মে গাছে জন্ম নেয় নতুন পাতা। ফুল ফুলে ছেয়ে যায় সবুজ গাছ। পাতা ছেড়ে ফুলের পাপড়িতে রঙময় হয়ে আছে প্রকৃতি। প্রচ তাপদাহে মানবজাতির যখন চরম দুঃসময়, ঠিক তখনই প্রকৃতি যেন নিজের সাজে সজ্জিত হচ্ছে। প্রকৃতি মেতে উঠেছে আনন্দে। সোনালুর সৌন্দর্যের হাতছানিতে মুগ্ধ হন পথচারী।
গ্রীষ্মের তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথচারীরা পুলকিত নয়নে, অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য। ছড়া-কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এসেছে এই ফুলের সৌন্দর্য বর্ণনা। শোভাবর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদে জন্মে থাকে। গ্রীষ্মের খরতাপে প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে যেসব ফুল ফোটে তার মধ্যে সোনালু উল্লেখযোগ্য। ঝাড়বাতির মতো ঝুলে থাকা ফুলগুলো চারপাশ আলোকিত করে রাখে। বড় বড় থোকায় হলুদ-সোনালি রঙের ফুল চলতি পথে পথিকের নজর কাড়বেই।
গ্রীষ্ম রাঙানো এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি তার নামের বাহার সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি। পুষ্পিত সোনালু তখন যেন কাঁচা সোনা রঙে আবৃত। ফুলের এমন শোভার কারণেই এ ফুলের ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার। বৈশাখী হাওয়ার পরশে এর থোকাগুলো দুলতে থাকে কানের দুলের মতো। আর হলুদ বরণ সৌন্দর্য মাতোয়ারা করে রাখে চারপাশ। দিন দিন কমে আসছে সোনালু গাছের সংখ্যা। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন, এ গাছের কাঠ খুব একটা দামি নয় বলে কিংবা গাছটি খুব ধীরে বাড়ে বলেই কেউ আর তেমন উৎসাহ নিয়ে সোনালু গাছ রোপণ করেন না।


আরো সংবাদ



premium cement