২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এনায়েতপুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের দুর্ভোগ

৩ কোটি টাকা রাজস্বের হাটে দেড় যুগেও উন্নয়ন হয়নি
এনায়েতপুর হাটের ভাঙাচোরা অবস্থা : নয়া দিগন্ত -

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুর হাট সুতি তাঁতকাপড়ের জন্য বিখ্যাত। তাঁতের শাড়ি-লুঙ্গি কিনতে দেশী-বিদেশী অনেক ক্রেতা এই হাটে আসেন। দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান হাট এটি। অথচ দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ড্রেনেজ, অবকাঠামো, স্যানিটেশনসহ সার্বিক উন্নয়ন বঞ্চিত এনায়েতপুর হাট। এতে করে এই হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর হাটের সংস্কার না হওয়ায় এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা হাটের জায়গা-জমি দখলেরও উৎসবে মেতেছেন। অথচ প্রতি বছর এই হাট থেকে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান হাট এই এনায়েতপুর হাট। বিগত দেড় যুগ ধরে হাটের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় হাটের অবকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে ঐতিহ্যবাহী এ হাটের পরিবেশ ও রাস্তাঘাট ভেঙে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
এ দিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই হাটের মধ্যে হাঁটু পানি জমে যায়। দোকানগুলোর টিনের চালা নষ্ট হয়ে মালপত্র ভিজে যায়। ২০০৬ সালে হাট সংলগ্ন প্রায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে কাপড়ের যে হাট বসানো হয়েছিল সেটির আর কোনো উন্নয়নই হয়নি। হাটের অভ্যন্তরের খানাখন্দ, ভাঙ্গাচোরা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে এবং হাটের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় বর্তমানে দেশী-বিদেশী ক্রেতাদের উপস্থিতিও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এনায়েতপুর হাটের ইজারাদার আলহাজ আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু জানান, এ হাট থেকে সরকার এ বছর প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। কিন্তু হাটে স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত কোনো সংস্কারই হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা হাটে এসে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধাই পাচ্ছেন না।
জরুরি ভিত্তিতে হাটের সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ করে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement