কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত রায়গঞ্জের খামারিরা
- সোহেল রানা রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)
- ০৭ জুন ২০২৩, ০০:০৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কোরবানি সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। তবে ভারত থেকে গরু না আসলে এবার উপজেলার খামারিরা লাভবান হবেন বলে জানান খামারিরা। ভালো দামের আশায় খামারিরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য এসব পশু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচর্যায় ব্যস্ত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের কোরবানির জন্য ১ হাজার ২১৯টি বাণিজ্যিক খামার ছাড়াও পারিবারিকভাবে পশু পালন করে ২৯ হাজার ৩৯৪টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছর থেকে এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশু পালন বেশি হয়েছে, যা এ উপজেলায় কোরবানির পশু ১৫ হাজার ৩৭৬ টির চাহিদা মিটিয়ে ১৪ হাজার ১৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করা হবে।
ধুবিল গ্রামের খামারি তালুকদার এগ্রো ফার্মের মালিক অনিক তালুকদার বলেন, আমার খামারে ১০০ গরু এবার কোরবানি হাটের জন্য প্রস্তুত করেছি। গরুর দাম ভালো থাকলেও গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আর ভারত থেকে গরু আসলে লোকসানে পড়বেন অনেক খামারি। দেশীয় খামারিদের বাঁচাতে ভারত থেকে গরু প্রবেশ নিষিদ্ধে সরকারের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।
রায়গঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: ওয়ালী-উল ইসলাম জানান, আমরা খামারিদেরকে মোটাতাজাকরণে ট্রেনিং দিয়েছি। যাতে তারা ট্রেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করে মোটাতাজা না করেন। গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির পশু রয়েছে বেশি, যা এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা