২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাটুরিয়ায় যে খাবারের নাম ‘বারো ভাজা’

-

ছোট্ট কাঠের তৈরি ঘর। সেই ঘরে বিভিন্ন প্লাস্টিকের কৌটায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে নানান স্বাদের মসলা। পাশাপাশি রাখা আছে সরিষার তেল, পেঁয়াজ, লবণ, চানাচুর, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া, গরম পানিতে সিদ্ধ করা ছোলা, মুড়ি, গাজর, শসা ও টমেটোর সালাদ। লাইন ধরে কিনতে হয় এ খাবার। যার নাম ‘বারো ভাজা’। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ‘বারো ভাজা’ খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
সাটুরিয়ায় গ্রামীণ হাটবাজার, মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে বাহারি পসরার বিকিকিনি। এসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বারো ভাজা। মসলা, চানাচুর, ছোলা, মুড়ি দিয়ে নিমিষেই তৈরি হয় এ খাবার। দাম ১০ টাকা থেকে শুরু। কেউ কেউ শত টাকায় কিনে পরিবারের শিশু কিশোরদের চাহিদা পূরণ করে।

উপজেলার ইনাম বাজার এলাকার বারো ভাজা বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন মেলা, খেলা ও অনুষ্ঠানকে ঘিরে বারো ভাজার চাহিদা প্রচুর বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন হাটবাজার ও স্কুলে আমরা বারো ভাজা বিক্রি করি। সব শ্রেণীর লোকজনের কাছে এ খাবারের প্রচুর চাহিদা। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে এর কদর আলাদা। ভেজালমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদাও প্রচুর। আবদুর রহমান খান উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্ত মিয়া বলে, আমরা টিফিনের সময় সাধারণত বারো ভাজা কিনে খাই। মুখরোচক বিধায় এ খাবারের চাহিদা অনেক।

পাকুটিয়া বিসিআরজি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ বলেন, ছোট বয়স থেকে আমরা এ খাবার খেয়ে আসছি। প্রচুর মজাদার। আমরা নিয়মিত এ খাবার খাই।
সাটুরিয়া কালুশাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খান মজলিশ বলেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এলাকা। শত শত বছর ধরে এখানে চলেছে গ্রামীণ মেলা, হাটবাজার, লোক সংস্কৃতি, গান বাজনা, যাত্রাপালা। এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে ‘বারো ভাজা’র বিকিকিনি। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক, গ্যাস্ট্রিকসহ নানাবিধ কারণে এক শ্রেণীর লোকের কাছে কদর কিছুটা কমলেও সাটুরিয়ার প্রত্যেকটি অঞ্চলে এ খাবারের চাহিদা ব্যাপক।


আরো সংবাদ



premium cement