২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাজগঞ্জে বিউটি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

-

জেলার এনায়েতপুরে বিউটি হত্যারকান্ডের পাঁচ বছর পরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। স্থানীয় প্রভাবশালী স্বপন ব্যাপরিকে অন্তঃসত্ত্বা বিউটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে স্বপন পরিকল্পিতভাবে বিউটিকে হত্যা করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণ গ্রামের ওমর ফারুক (২৮), নিহত বিউটির খালা আনু বেগম (৪০), খালু আব্দুল মোমিন (৫০) ও খোকশাবাড়ি গ্রামের স্বপন ব্যাপারি (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণ গ্রামের সাচ্চু মিয়ার মেয়ে বিউটি খাতুনের বিয়ে হয়। স্বামীর সাথে বনি-বনা না হওয়ায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে বিউটি তার স্বামীকে তালাক দেন।

পরবর্তীতে বিউটির সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী স্বপন ব্যাপরির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের প্রলোভনে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। এতে বিউটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে বিউটি স্বপনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু স্বপন বিবাহিত হওয়ায় বিউটিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তিনি প্রতিবেশী ওমর ফারুক, বিউটির ছোট খালা ও খালুকে টাকা দিয়ে রাজি করিয়ে বিউটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৮ সালের ১৩ মে রাতে স্বপন ব্যাপারি লোকজন নিয়ে বিউটির ঘরে গিয়ে ঘুমন্ত বিউটির হাত, পা ও মাথা চেপে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বিউটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। বিউটির বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত চলার সময় পিবিআই ২০২১ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণ গ্রামের ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে। এরপর ওমর ফারুকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় জড়িত স্বপন ব্যাপারি, বিউটির খালা আনু বেগম ও খালু আব্দুল মোমিনকে গত ২৩ মে গ্রেফতার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement