কুলাউড়ায় বাগানের কয়েক শ’ চা গাছ উপড়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা
- কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
কুলাউড়া উপজেলার রেহানা চা বাগানের কয়েক শ’ চা গাছ উপড়ে ফেলে জোর করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে বাগানের অভ্যন্তরে বসবাসরত খাসিয়ারা। বাগানের ফ্যাক্টরির পাশ দিয়ে খাসিয়াদের চলাচলের জন্য রাস্তা থাকলেও বাগানের সেকশনে যাওয়ার ছোট সরু রাস্তাটিকে বড় করতে গিয়ে বড় বড় শত শত চায়ের গাছ নষ্ট করেছে তারা।
এ দিকে গত ২২ মার্চ বাগান কর্তৃপক্ষ রাস্তা প্রশস্তকরণের খবরটি জানতে পেরে খাসিয়া ও গারোদের বাধা দিলে খাসিয়ারা বাগানের শ্রমিকদের ধাওয়া করে। পরে বাগান কর্তৃপক্ষ পাগলা ঘণ্টা বাজালে সব শ্রমিক একত্র হয়ে খাসিয়াদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তায় নতুন করে চায়ের চারা রোপণ করেন। বাগান কর্তৃপক্ষ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলে তৎক্ষণাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাগানের শান্তি শৃঙ্খলার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করেন।
রেহানা চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারের কাছ থেকে ৫০০ একর জায়গা লিজ নিয়ে তারা চা চাষ করে আসছে। এর মধ্যে বহু আগে বাগান কর্তৃপক্ষ পল খাসিয়াসহ ৩-৪ টি পরিবারকে বাগানের শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করে। তারা বাগানের অভ্যন্তরে ও বাগানের লিজকৃত জায়গায় বসবাস করে আসছে। প্রথমে ৩-৪ টি পরিবার থাকলেও ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭ পরিবার বসবাস করছে। তারা বাগানে ৩০-৪০ একর জায়গা জবরদখল করে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে কাকড়াছড়া পুঞ্জির হেডম্যান জন পল খাসিয়া জানান, যে রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল করে থাকি, সেই রাস্তা দিয়ে বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকজনের চলাচলে কষ্ট হয়। তাই বাগানের সেকশনের মধ্য দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। বাগান কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি বন্ধ করে চা রোপণ করে।
রেহানা চা বাগানের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ বলেন, বাগানের জায়গায় অবৈধভাবে বসবাস করছে পল খাসিয়াসহ কয়েকটি পরিবার। আমরা মানবিক কারণে তাদেরকে কারখানার পেছনের রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু তারা বাগানের পাতাওয়ালার যাওয়া-আসার সরু রাস্তাটি বড় করতে গিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার চা গাছ নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে লাখ লাখ টাকা খাজনাসহ সব কিছু পরিশোধ করে চা চাষ করছি। আর খাসিয়ারা বাগানের জায়গায় অন্যায়ভাবে বসবাস করেও বাগানের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করতে রাস্তা প্রশস্তকরণের নামে নতুন করে নাটক সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান জানান, বাগানের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা নির্মাণের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক করে আসছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা