০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ১৫ জিলকদ ১৪৪৪
`

হোসেনপুরে ৯ বছরেও সংস্কার হয়নি ভাঙা সেতু

হোসেনপুরের নামাজিনারী গ্রামে ৯ বছর ধরে ভেঙে পড়ে থাকা সেতু : নয়া দিগন্ত -

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার নামাজিনারী গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার ওপর নির্মিত সেতুটি ৯ বছর ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। উপজেলার হাজিপুর বাজার হয়ে বিভিন্ন এলাকার সড়কপথের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি স্থানীয় একটি খালের ওপর ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করা হয়। গত ২০১৪ সালে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও পানির চাপে সেতুর একপাশের মাটি সড়ে যায়। এ অবস্থায় ৯ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে যানবাহনের যাত্রী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে খুব ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে। ভাঙা সেতুটি কেন এতদিন ধরে সংস্কার হয়নি তা কেউ জানেন না। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের নামা জিনারী, হলিমা টেকাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তায় অবস্থিত এই সেতুটি। বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে যাতায়াতের সুবিধার জন্য সাঁকো নির্মাণ করা হলেও তিন বছর জলো সে সাঁকোটিও নেই।
সামান্য বৃষ্টি হলেই এ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির মতো অবস্থা হয়। ফলে এলাকার শত শত মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। জীবন-জীবিকার তাগিদে এখানকার মানুষকে যাতায়াত করতে বিকল্প হিসেবে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে গাবরগাঁও হয়ে হাজিপুর বাজার যেতে হয়। অর্থাৎ সংস্কারের অভাবে অন্তত পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী চরম বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন।
তা ছাড়া এসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল, শাকসবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়। কিন্তু বর্তমানে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় উৎপাদিত ফসল পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সব এলাকার বাসিন্দা।
নামা জিনারী বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আমাদের ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই হাজিপুর বাজারসহ হোসেনপুর উপজেলায় যেতে হয়। এতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লোকমান হাকিম নামে একজন পানের বরাজ থেকে পান নিয়ে প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে হাজিপুর বাজারে যান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অটোরিকশা চালক লাল মিয়া বলেন, সেতুটি ৯ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।
এলাকাবাসী জানান, সরেজমিন ভাঙা সেতুটি পরিদর্শন করে গেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহীউদ্দিন। কিন্তু অদ্যবধি সংস্কারের কোনো নমুনা দেখা যায়নি। তাই স্থানীয়দের দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল জানান, সেতুটি আমি পরিদর্শন করে এসেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতার অভাবে বিলম্ব হচ্ছে। তবে অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ


premium cement
সেনাবাহিনী আমার দলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে : ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করবেন তখন নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন : আইনমন্ত্রী ১১ মাসে রফতানি থেকে ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় : ইপিবি সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণের ১ বছর : বিচার, ক্ষতিপূরণ, অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন কাটেনি নাঙ্গলকোটে রেল ক্রসিং নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন রংপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ২ সন্তানের জনক গ্রেফতার প্রস্তাবিত বাজেট শ্রমবান্ধব হয়নি : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাউখালীতে বিষ পানে জেলের আত্মহত্যা প্রস্তাবিত বাজেট শ্রমবান্ধব নয় : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড নিম্নমানের সিগারেট বন্ধসহ বিড়ি শ্রমিকদের ৪ দাবি

সকল