২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জগন্নাথপুরে বালু মাটি দিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ!

জগন্নাথপুরে বালু মাটি দিয়ে নির্মিত ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ : নয়া দিগন্ত -

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বেশির ভাগ ফসল রক্ষা বাঁধ বালুমাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে বাঁধগুলো খুব দুর্বল এবং সামান্য বৃষ্টি হলেই ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ধান।
চার দিন আগেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফসল রক্ষার জন্য নির্মিত বালুমাটির বাঁধগুলো বৃষ্টিতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এ দিকে হাওরে বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, পাউবোর কিছু অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে হাওরের অনেক স্থানে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন না থাকলেও বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আবার যে স্থানে বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। জগন্নাথপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে নলুওয়ার হাওরের ১৩ নং পিআইসির মধ্যবর্তী স্থানে কাজের আদেশ না থাকায় ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ করা হয়নি। সেখানকার বোরো ফসল বর্তমানে অরক্ষিত রয়েছে। প্রবল বর্ষণ শুরু হলে এসব মাঠের বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জগন্নাথপুর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। সঠিকভাবে ফসল ঘরে উঠলে প্রায় ৮৪ হাজার ৫৪৭ টন ধান উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এ দিকে হাওর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করলেও কৃষকদের দাবি ৭৫ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, পাহাড়ী ঢল ও অকাল বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসল রক্ষা করতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও শুধু দুর্নীতির কারণে সঠিক সময় বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের কষ্টের ফসল।
উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী জানান, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ৯০ ভাগের অধিক হয়েছে। যেটুকু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে তা দ্রুত গতিতে সমাপ্তির পথে এগোচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement