২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জামালগঞ্জে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে ৫০ গ্রামের বাসিন্দারা

ঁজামালগঞ্জে দৌলতা নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হ নয়া দিগন্ত -

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৫০ গ্রামের হাজার-হাজার মানুষ। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের পাশে দৌলতানদীর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত সেতুটি এখন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত এই সেতুটি নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনা হাওরের জামালগঞ্জ-ফেনারবাঁক সড়কের তেরানগর গ্রামের পাশে দৌলতা নদীর ওপর প্রায় ২৩ বছর আগে নির্মিত হয় এই সেতুটি। এটি এক যুগ আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনো আলোর মুখ দেখেনি এলাকাবাসী। আর এই পরিত্যক্ত সেতু দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলচল করছে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল, ভীমখালী ইউনিয়নের কিয়দাংশ ও দিরাই উপজেলার ভাটি অঞ্চলের প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষ।
প্রায় এক যুগ আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উল্লেখিত গ্রামের বাসিন্দাদের জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগের বিকল্প কোনো পথ না থাকায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০০০ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০০৪ সালে শেষ হয়। ওই সময় সেতুর উভয় পাশে অ্যাপ্রোচের কাজ সম্পন্ন না করায় সেতুটি দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারেনি। বিকল্প চলাচলের জন্য তারা বাঁশের সাঁকো ও খেয়া নৌকায় পারাপার হতো। এতে দুর্দশায় ছিল এলাকার মানুষজন। পরে ২০০৫ সালের শেষের দিকে অ্যাপ্রোচ নির্মাণের পর সেতু দিয়ে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল শুরু হলে দুর্দশা কমে আসে। অভিযোগ উঠেছিল, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নি¤œমানের কাজের কারণে নির্মাণের মাত্র কয়েক বছর যেতে না যেতেই রড ঝুলে যায় ও আস্তর খসে পড়ে। এ অবস্থায় সেতু দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক ছিল। ২০১৪-১৫ সালেই সেতুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দিয়ে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রাজাপুর, মাতারগাঁও, খোঁজারগাঁও, রাজাবাজ, উজান দৌলতপুর, ভাটি দৌলতপুর, বিনাজুড়া, লালপুর, রসুলপুর, তেঘরিয়া, গঙ্গাধরপুর, ছয়হারা, কামারগাঁও, ইনাতনগর, লক্ষ্মীপুর, কাশীপুর, উদয়পুর, তাজপুর, নাজিমনগর, হঠামারা গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া, নুরনগর, আলী নগর, ইসলামপুর, কুচিরগাঁও এবং রফিনগর ইউনিয়নের খাগাউড়া, সেচনি, কিত্তাগাঁও, স্বজনপুর, জগন্নাথপুর, কুড়ি, পুরন্দরপুর গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। শুকনো মৌসুমে প্রায় ৭-৮ মাস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এই সেতুর ওপর দিয়ে জামালগঞ্জ সদরে আসতে হয় এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে এই সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহত হয়েছে দুই শতাধিক লোক। আর চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল বলেন, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের তির আশঙ্কা রয়েছে। গাড়ি উঠলে সেতু কাঁপে। এরপরও মানুষ জীবনের ঝুঁকি লইয়াই চলাচল করে।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, জামালগঞ্জ-ফেনারবাঁক সড়কের তেরানগরে দৌলতা নদীর সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য ডিও লেটার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, অনুমোদন হলেই দ্রুত কাজ করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, জামালগঞ্জের তেরানগর সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

সকল