২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পঞ্চগড়ে চীনা বাদাম চাষে ব্যস্ত কৃষক

পঞ্চগড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে জমিতে বাদাম রোপণে ব্যস্ত কিষাণী : নয়া দিগন্ত -

বিদায় নিচ্ছে শীত। এ সময় শীতকালীন আবাদ শেষ। এখন কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রীষ্মকালীন নতুন আবাদ নিয়ে। ইতোমধ্যে ভুট্টা বীজ বপন করে চলছে পরিচর্যার কাজ। তারপর শুরু হয়েছে চীনা বাদাম চাষ। জমি চাষের পর লাঙ্গল দিয়ে লম্বা ঘোষ টেনে বাদাম বীজ রোপণে ব্যস্ত নারী, পুরুষ এমনকি শিশুরাও। চীনা বাদাম চাষ পঞ্চগড়ে কৃষিনির্ভর চাষিদের আর্থিক সচ্ছলতার পথ তৈরি করেছে। তেমন বাড়তি যতœ ছাড়াই একজন চাষি তিন মাসেই প্রতি বিঘা জমিতে চীনা বাদাম চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করতে পারেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের বর্গাচাষি জিল্লুর রহমান জানান, গত বছর তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চীনা বাদাম চাষ করে ৪০ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করেছেন। পরিবারের সদস্যরা মিলে চীনা বাদাম ক্ষেতে পরিচর্যা ও বাদাম তোলার কাজ করায় ৩০ হাজার টাকা তার লাভ হয়েছে। চলতি বছরও তিনি একই জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া গ্রামের এ এন এম গোলাম রব্বানী মানিক গত বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ২১ হাজার টাকা বাড়তি আয় করেছেন। এবার তিনি সম পরিমাণ জমিতে বাদাম চাষ করছেন। তিনি বলেন, জমিতে বীজ বপনের পর তেমন একটা পরিচর্যা করতে হয় না। তিনি বলেন, এবার তিনি উন্নত জাতের বাদাম চাষ করছেন। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলার আবহাওয়া, মাটির অমøত্ব ও বেঁলে-দো’আশ মাটি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় স্থানীয় প্রান্তিক চাষিরা বাদাম চাষ করেন। এই চাষে অন্যান্য আবাদের তুলনায় অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভ করতে পারেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, পঞ্চগড় জেলার মাটি বেলে দোয়াশ হওয়ায় কৃষকরা কম খরচে চীনা বাদাম চাষ করে অধিক লাভ করতে পারেন। মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন জমিতে বীজ বপনের কাজ করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement