দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন গৃহবধূ আসমার
- নোয়াখালী অফিস
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
এতিম দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন নোয়াখালীর বিধবা গৃহবধূ আসমা আক্তার (২৬)। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সন্তান হিফজু বিভাগের ছাত্র মামুন (৯) ও মাদরাসা শিক্ষার্থী সাজেদা আক্তারের (৬) লেখাপড়া। জরাজীর্ণ ঘরে অসহনীয় জীবনযাপন করছে পরিবারটি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামের চকিদার বাড়ির খোরশেদ আলমের মেয়ে আসমা আক্তারের বিয়ে হয় একই বাড়ির আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মানিকের সাথে। মানিক কুমিল্লায় একটি বেসরকারি সুতা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। ফ্যাক্টরিতে এক দুর্ঘটনায় তার একটি হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে তার পুরো হাত কেটে ফেলে দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসার খরচ দিলেও তার জন্য কোনো অনুদান দেয়া হয়নি কোম্পানির পক্ষ থেকে । মানিক বাড়িতে এসে এক হাত দিয়ে অতিকষ্টে একটি ব্যাটারি রিকশা চালিয়ে কোনোভাবে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। মানিকের মৃত্যুর পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে আসমার। এলাকার একটি সংস্থা পরিচালিত আদর্শ নূরানি তালিমুল কুরআন শিক্ষায় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তিনি মাসে দুই হাজার ১০০ টাকা পান। এ টাকা দিয়ে ছেলের মাদরাসা খরচ দেবেন, নাকি খাবেন! আসমা এ প্রতিবেদক বলেন, ‘সন্তাদের দিকে তাকিয়ে ও লোকলজ্জায় ভিক্ষাও করতে পারি না। অভাবের তাড়নায় সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি গৃহবধূ আসমাকে নিয়ে নয়া দিগন্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি পড়ে নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা বোরহান উদ্দিন জামায়াতের পক্ষ থেকে কিছু নগদ অর্থ আসমা আক্তারের হাতে তুলে দেন। এ ছাড়াও অনেকে এতিম পরিবারটির সাহায্যে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই আসমা ফের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিত্তবানদের কাছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : আসমা আক্তার, বিকাশ নম্বর-০১৮৫০-৯৪৩৭৬৫।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা