২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পল্লীবিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জে ২৪০ ডিজিট!

প্রি-পেইড মিটারে ২৪০ ডিজিটের সংখ্যা তুলছেন এক গ্রাহক : নয়া দিগন্ত -

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের গ্রাহকরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, আগে প্রি- পেইড মিটার রিচার্জ করতে ২০টি ডিজিট প্রবেশ করাতে হতো; কিন্তু এখন প্রবেশ করাতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০টি ডিজিট। এতগুলো ডিজিট প্রবেশ করাতে গিয়ে অনেকেই ভুল করছেন। বারবার ভুল করার ফলে মিটার লক হয়ে যাচ্ছে।
মিটার একবার লক হয়ে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎহীন থাকতে হয় গ্রাহককে। এ অবস্থায় অভিযোগ কেন্দ্রে জানিয়ে কিংবা সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়েও সহসাই সমাধান মিলছে না। এতে চরমভাবে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
ঘিওর উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় সূূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম গড়ে ইউনিট প্রতি ৩৬ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের ট্যারিফ চেঞ্জ হওয়ার পর থেকে সার্ভার আপডেট করতে এই টেকনিক্যাল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাড়াই ভিকরা স্টোরের মালিক রুবেল খান বলেন, টোকেন সিস্টেমে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন মোবাইলে মেসেজ আকারে আসে। সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি থেকে মোবাইলে ২৪০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার আসছে। এত অধিকসংখ্যক ডিজিট মিটারে পুশআপ করতে গ্রামের গ্রাহকরা বারবারই ভুল করছেন। ফলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
ভোগান্তির কথা জানালেন বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডের রাইস মিলের মালিক হায়াত আলী। তিনি বলেন, অনেকগুলো নাম্বার মিটারে তুলতে গিয়ে বারবার ভুল হয়। কয়েকবার চাপার ফলে আমার মিটারটি লক হয়ে যায়। পরে আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে অভিযোগ করার একদিন পর তারা এসে ঠিক করে দেন। মিটার লক হয়ে থাকায় বিদ্যুতের অভাবে মিল একদিন বন্ধ ছিল।
পল্লীবিদ্যুতের ঘিওর জোনাল অফিসের ডিজিএম লিপিয়া খাতুন বলেন, বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির কারণে সফটওয়্যারগত এই সমস্যা হয়েছে। এটা একজন গ্রাহককে একবারই করতে হবে। গ্রাহকের বাড়ি যেয়ে আমাদের অফিসের বিদ্যুৎকর্মীরা সমাধান করে দিচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সাথেই কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুতই এটির সমাধান হবে।


আরো সংবাদ



premium cement